অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রীসভায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত তরুণ

ক্যানবেরা, ৬ ফেব্রুয়ারি: অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রিসভার সদস্য হয়ে নজির গড়লেন এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ৩৮ বছরের এই আইনজীবীর নাম বরুণ ঘোষ। তিনি পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিত্ব করবেন। এক্স হ্যান্ডেলে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার অ্যাসেম্বলির তরফে জানানো হয়, ‘পার্লামেন্টের সেনেটে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিত্ব করার জন্য অ্যাসেম্বলি ও কাউন্সিলের তরফে বরুণ ঘোষকে বেছে নেওয়া হয়েছে।’ এই ঘোষণায় সে দেশের ভারতীয়রা রীতিমতো উচ্ছ্বসিত। খুশি হয়েছেন বরুণ নিজেও। অস্ট্রেলিয়া মন্ত্রিসভার এক সদস্য হঠাৎ অবসর নেওয়ায় এই সুযোগ পেয়েছেন বরুণ। কিন্তু বরাবরই আইনের প্রতি ঝোঁক ছিল বরুণের। সেজন্য আইনকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি।

জানা গিয়েছে, বরুণের জন্ম ১৯৮৫ সালে। ১৯৯৭ সালে মাত্র ১২ বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে ভারত থেকে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি দেন। তাঁর বাবা-মা দুজনেই ডাক্তার। সেখানে নিউরোলজিস্ট হিসেবে যথেষ্ট পরিচিতি রয়েছে তাঁদের। প্রথমে পার্থ শহরে বসবাসের সময়ে ক্রিস্ট চার্চ গ্রামার স্কুলে পড়াশোনা করেন। সেখানে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন। এরপর অস্ট্রেলিয়ার ডারউইন কলেজের ভর্তি হন। সেখান থেকে স্কলারশিপ নিয়ে কেমব্রিজে পড়াশোনা করেন। তিনি আইন নিয়ে উচ্চ শিক্ষা সমাপ্ত করেন। তিনি দীর্ঘদিন আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন। পাশাপাশি, একটি নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন বরুণ।

এরপর ২০১৫ সালে অর্থাৎ প্রায় আট বছর আগে কিং অ্যান্ড উড নামে অস্ট্রেলিয়ার এক ল ফার্মে সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট হিসেবে কাজে নিযুক্ত হন। এই সময়েই তিনি দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক এবং কর্পোরেট সংস্থার সঙ্গে পরিচিত হন। এখান থেকেই রাজনীতির সংস্পর্শে আসেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত বরুণ। ২০১৯ সালে তিনি অস্ট্রেলিয়ান লেবার পার্টিতে যোগ দেন। সেবার ফেডারেল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু নির্বাচনে তাঁর দল জিততে পারেনি। অস্ট্রেলিয়ান লেবার পার্টির সেনেটের টিকিটে পঞ্চম স্থানে ছিলেন বরুণ। সেজন্য সেনেটে যুক্ত হতে পারেননি বরুণ।


উল্লেখ্য, বিদেশের রাজনীতি থেকে শুরু করে বেশ কয়েক ক্ষেত্রে উচ্চপদে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভুতরা। বর্তমানে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত ঋষি সুনক। নিউ ইয়র্কের মেয়র পদের নির্বাচনের দৌঁড়েও আছেন দুই ভারতীয় বংশোদ্ভুত। এবার সেই তালিকায় নাম উঠল আইনজীবী বরুণ ঘোষের। অস্ট্রেলিয়ার পার্থের বাসিন্দা তিনি। অস্ট্রেলিয়ান সেনেটর হিসেবে তাঁর নতুন ইনিংস দেখার জন্য মুখিয়ে আছেন সেদেশের বসবাসকারী ভারতীয়রা।