আমিনুর রহমান: বর্ধমান, ১৮ মার্চ– বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনে তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ-এর বিরুদ্ধে রয়েছে বহিরাগত তকমা৷ কিন্ত্ত বর্ধমান পূর্ব আসনের প্রার্থী ডা. শর্মিলা সরকারের বাডি় কাটোয়াতে৷ ফলে বিরোধীরা সেই অভিযোগ আনতে পারেন নি৷ তিনি নিজেও নিজেকে বলছেন ‘ঘরের মেয়ে৷’ আর সেই ঘরের মেয়েকে নিয়ে সাতটি বিধানসভা এলাকায় প্রচার তুঙ্গে বর্ধমানে৷ বিশেষ করে কাটোয়া, কালনা, মেমারি, জামালপুর, পূর্বস্থলী এলাকায় দেওয়াল লিখন, মিছিল, পথসভা, কর্মী বৈঠক চলছে সমানে৷ এখানকার মূল দায়িত্বে আছেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ৷ এছাড়াও ওই সব এলাকার নেতা নেত্রীরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রচারে নেমেছেন বলে দাবি নেতৃত্বের৷
প্রার্থী ঘোষনার পর পরই ডা. শর্মিলা সরকার কাটোয়ায় নিজের বাডি়তে থাকতে শুরু করেছেন৷ সেখানেই দলীয় নির্বাচনী দপ্তর খুলে সব কিছু পরিচালনা করছেন৷ নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন কাটোয়ায় বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে৷ এমনটাই জানানো হয় দলীয় সূত্রে৷ এর আগে কাটোয়াতেও বড়ো ধরনের কর্মীসভার আয়োজন করা হয়েছিল৷ সেখানে দু-তিনজন মন্ত্রী বিধায়ক থেকে শুরু করে দলের সব ধরণের নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন৷ কয়েকশো কর্মীর উপস্থিতিতে দলের প্রচার নিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়৷ তারপর এদিন মেমারিতে কর্মীসভায় বিভিন্ন অঞ্চলের কর্মী সমর্থকদের উপস্থিত থাকতে দেখা যায়৷ ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, স্থানীয় বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য, জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি রাসবিহারী হালদার, মেমারি পৌরসভার চেয়ারম্যান স্বপন বিষয়ী সহ কাউন্সিলররা৷ ওই কর্মীসভা ছাড়াও দিনভর প্রার্থী নিজেও দেওয়াল লিখনে অংশ নিয়েছেন৷ মিছিল, বাডি় বাডি় জনসংযোগ করেন৷ এদিনই মেমারি থেকে চলে যান কালনাতে৷ সকলের সঙ্গে পরিচয় করতে রাস্তায় হাঁটতে শুরু করেন৷ তখনই তার সঙ্গে অনান্য দলীয় নেতা নেত্রীদের সঙ্গে কয়েক হাজার কর্মী সমর্থকরা যোগ দেন৷ প্রার্থী বাডি়গুলো ঘুরে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলে অভাব অভিযোগ শোনেন৷ তারা কি চাইছেন সে ব্যাপারেও কথা বলেন৷ পরে সাংবাদিকদের বলেন আমাকে প্রার্থী করেছেন খোদ দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এর পর দিদির সৈনকরা পাশে আছে বলে একশো শতাংশ জয় নিশ্চিত৷