• facebook
  • twitter
Thursday, 21 November, 2024

ফের মেয়রের এলাকায় বেআইনী নির্মাণ ভাঙা হবে, নির্দেশ হাইকোর্টের

নিজস্ব প্রতিনিধি– কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মেয়র ফিরহাদের বিধানসভা এলাকায় আবার বেআইনি নির্মাণ ভাঙবে কলকাতা পুরসভা৷ কলকাতা পুরসভার ৯ নম্বর বোরোর অন্তর্গত ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডে কবিতীর্থ সরণি এলাকা মেয়র ফিরহাদ৷ গার্ডেনরিচে বহুতল বিপর্যয়ের পর মুখ পুডে়ছিল কলকাতা পুরসভার৷ মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বিধানসভা কেন্দ্র কলকাতা বন্দর এলাকাতেই এমন ঘটনা ঘটায় জোর সমালোচনাও সহ্য করতে হয়েছিল তাদের৷ গার্ডেনরিচের

নিজস্ব প্রতিনিধি– কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মেয়র ফিরহাদের বিধানসভা এলাকায় আবার বেআইনি নির্মাণ ভাঙবে কলকাতা পুরসভা৷ কলকাতা পুরসভার ৯ নম্বর বোরোর অন্তর্গত ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডে কবিতীর্থ সরণি এলাকা মেয়র ফিরহাদ৷

গার্ডেনরিচে বহুতল বিপর্যয়ের পর মুখ পুডে়ছিল কলকাতা পুরসভার৷ মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বিধানসভা কেন্দ্র কলকাতা বন্দর এলাকাতেই এমন ঘটনা ঘটায় জোর সমালোচনাও সহ্য করতে হয়েছিল তাদের৷ গার্ডেনরিচের ঘটনার পর শহরজুডে় একের পর এক বেআইনি নির্মাণের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে৷ শীর্ষ আদালতের নির্দেশে কলকাতা বন্দর বিধানসভার তেমনই একটি বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুরসভা৷

কলকাতা পুরসভার ৯ নম্বর বোরোর অন্তর্গত ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডের কবিতীর্থ সরণি এলাকার ঘটনা৷ সেখানেই একটি পাঁচতলা বেআইনি নির্মাণের কাজ হয়েছে বলে অভিযোগ জমা পডে় পুরসভায়৷ এরপরেই কলকাতা পুরসভার তরফে একাধিক বার বিষয়টি জানানো হয়েছিল ওয়াটগঞ্জ থানায়৷ কিন্ত্ত তা সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলেই অভিযোগ৷ কলকাতা হাইকোর্ট এ বিষয়ে পুলিসের কাছে জবাব চেয়েছে৷ সেই সঙ্গে অবিলম্বে ওই বেআইনি নির্মাণের জল এবং বিদু্যৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সেটি ভেঙে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু করতে পুরসভাকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা৷ সূত্রে প্রকাশ, বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ পাওয়ার পর ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে বিষয়টি নিয়ে ওয়াটগঞ্জ থানাকে ব্যবস্থা নিতে বলে কলকাতা পুরসভা৷ সে সময় ওই বেআইনি নির্মাণটি ছিল একতলা৷ কিন্ত্ত পুরসভার তরফে লিখিত অভিযোগ জানানোর পরেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ওয়াটগঞ্জ থানার তরফে৷ সেই সুযোগে একতলা থেকে পাঁচতলা হয়েছে৷ অবশেষে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হওয়ার পর নির্মাণ বন্ধ করতে পদক্ষেপ করে পুলিশ৷ কলকাতা পুরসভার দাবি, অভিযোগ পাওয়ার পর গত বছর ১৭ নভেম্বর পুর আইনের ৪০১ নম্বর ধারায় নোটিস দেওয়া হয় এবং পুলিশের কাছে এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগও জানানো হয়৷ পাশাপাশি, কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনারকেও (হেডকোয়ার্টার) বিষয়টি জানানো হয়েছিল৷ তবুও ওই বেআইনি নির্মাণ বন্ধ হয়নি বলেই অভিযোগ৷ শেষ পর্যন্ত চলতি বছরের ১৮ মার্চ এফআইআর দায়ের করা হয়৷ মামলার শুনানিতে বিচারপতি নির্দেশে দিয়েছেন, গত বছর নভেম্বর মাসে পুরসভার তরফে অভিযোগ জানানোর পর পুলিশ কী করেছে, তা হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে৷ ওই রিপোর্ট দেখেই পরবর্তী নির্দেশ দেবে হাই কোর্ট৷ সেই সঙ্গে অবিলম্বে ওই বেআইনি নির্মাণের জল ও বিদু্যৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করতে হবে এবং শীঘ্রই সেটি ভাঙার পদক্ষেপ করতে পুরসভাকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷ আগামী ১৮ জুন মামলার পরবর্তী শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টে৷