বৃষ্টি উপেক্ষা করেই ইসকনের রথের রশিতে টান মমতার, রাজ্যবাসীকে দিলেন বিশেষ বার্তা

সঙ্গে ছিলেন অভিষেকের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রশান্ত দাস: রথযাত্রার দিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাঁধাধরা কাজের মধ্যে অন্যতম হল কলকাতার ইসকনে উপস্থিত হয়ে রথের রশিতে টান দেওয়া। ব্যতিক্রম হল না এবারও। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই রথের রশিতে টান দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিবারের মতো এবারও রথযাত্রার দিন দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী চলে যান মিন্টো পার্কের ইসকনে। সেখানকার রথযাত্রা এবার পা দিল ৫৩ বছরে। এদিন জগন্নাথ রথে চড়েছেন সকালেই। বেলা যত গড়িয়েছে বেড়েছে ভক্ত সমাগম। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গী ছিলেন তাঁর ভ্রাতৃবধূ তথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতাদেবী। বেলা ২টোর সময় মমতা ইসকনে পৌঁছেই ইসকনের সন্ন্যাসী, পূজারিদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে পুজো দেন। ফুল-মালা-প্রদীপে থালা সাজিয়ে আরতিও করেন।

প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই টান দেন রথের রশিতে। তাতেই গড়াতে শুরু করে রথের চাকা। রথের রশিতে টান দিয়ে যাত্রার শুভ উদ্বোধন করেন মমতা। এদিন গোটা কলকাতা ঘোরে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার রথ। এজেসি বোস রোড, শরৎ বোস রোড, হাজরা রোড, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোড, আশুতোষ মুখার্জি রোড, চৌরঙ্গী রোড, এক্সাইড মোড়, জেএল নেহরু রোড এবং আউটরাম রোড হয়ে রথ যায় ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে। সেখানেই জগন্নাথের মাসির বাড়ি। উল্টো রথের আগে অবধি জগন্নাথের ঠিকানা সেখানেই।


ইসকনে পুজো দেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আদ্যাপীঠের কায়দায় একটা বড় মন্দির আলিপুরদুয়ারে হচ্ছে। সেই মন্দির উদ্বোধন করার সুযোগ করে দিয়েছেন আমাকে। তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। বাংলায় আমরা সব ধর্ম নিয়ে মেতে থাকি। জগন্নাথদেবও আমাদের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। বাংলার অর্ধেক লোককে আজ আপনারা পুরীতে জগন্নাথ দর্শনে দেখতে পাবেন।” আগামী বছর থেকে দিঘাতেও পুরীর মতো করে রথযাত্রার আয়োজন করা হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

রবিবার তিনি আরও বলেন, “আগামী বছর একেবারে পুরীর মতো দিঘাতেও রথযাত্রা হবে। কিছু কাজ বাকি আছে মন্দিরের। মন্দির উদ্বোধন হলেই রথযাত্রা হবে। আপনাদের সকলকে আগাম আমন্ত্রণ রইল। মন্দির উদ্বোধনে আপনারা আসবেন। উপলব্ধি করবেন, কিভাবে এত তাড়াতাড়ি এই কাজটা আমরা করলাম!”