নিজস্ব প্রতিনিধি— তৃতীয় দফার নির্বাচনের প্রাক্কালে জোড়া জনসভা করে সপ্তাহের শুরু করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়৷ এদিন লকেট গড়ে দাঁড়িয়ে দফায় দফায় লকেটকেই কড়া ভাষায় আক্রমণ শানান অভিষেক৷ হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী রচনা বন্দোপাধ্যায়ের সমর্থনে আয়োজিত জনসভা থেকে লকেটের বিরুদ্ধে তোপ দেগে অভিষেক বলেন, “হুগলীর মানুষকে অত্যাচারিত করার পরও তিনি যদি রাজনৈতিক ভাবে লড়াই করার সাহস দেখিয়ে আবার বিভ্রান্তিকর প্রচার করে মানুষের চোখে ধুলো দিয়ে, তিনি ভাবেন দ্বিতীয় বার সাংসদ হবো তাহলে সে গুড়ে বালি মানুষ দেবে৷ আপনি প্রাক্তন৷ প্রাক্তন লোকসভার সাংসদের লেটার প্যাডটা ছাপিয়ে রাখুন৷ “পাণ্ডুয়ার মাটি থেকেই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে চ্যালেঞ্জ করেন লকেটকে, “গত পাঁচ বছরে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নিয়ে আসতে কেন্দ্রকে কটা চিঠি লিখেছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়? আসুন তথ্য পরিসংখ্যান সামনে রেখে লড়াই হোক৷ ১০ গোল দিয়ে মাঠের বাইরে যদি না বার করতে পারি, আমার নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নয়৷ “লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করে দেওয়ার প্রসঙ্গেও বিজেপি তথা লকেটকেই আক্রমণ অভিষেকের৷ কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, “কোচবিহারের বিজেপি নেত্রী বলেছেন, বিজেপি জিতলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করে দেবে৷ লকেট জিতলে তো লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করবে!”
এখানেই শেষ নয়, আবারও কটাক্ষের তীর ছুঁড়ে দিলেন লকেটের দিকেই৷ অভিষেকের ভাষায়, “২০১১ সালের আগে কোথায় ছিলে মা? এখন এখানে ওখানে ঘুরছ, ভাষণ দিচ্ছ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে সিপিএমের বোমা-বন্দুকের কাছে মাথা নত করতে৷” তাঁর আরও সংযোজন, “২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে দুহাজার ভোটের ব্যবধানে লকেট জিতেছিলেন৷ তিনি চুঁচুড়া থেকে বিধানসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন কিন্ত্ত সেখানে দুহাজার ভোটের ব্যবধানে হেরেছিলেন৷ তাহলে বুঝুন, দু বছরে মানুষ তাঁর আসল রূপ বুঝে গেছেন৷ ” বিজেপিকে ‘বহিরাগত’ বলেই কটাক্ষ করে জোড়াফুল শিবির৷ এবার গেরুয়া বাহিনীকে পর্তুগীজ, ফরাসিদের সাথে তুলনা করলেন অভিষেক৷ তাঁর ভাষায়, “হুগলিতে ব্যান্ডেলের দিকে পর্তুগীজরা এসেছিলো, তার একশো বছর পর চন্দননগরে ফরাসিরা এসেছিলো৷ আর ২০১৯ এ এখানে বর্গীরা এসেছে, বহিরাগতরা এসেছে৷ এদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে৷ ” পান্ডুয়ার জনসভায় গল্পকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন তৃণমূল সেনাপতি অভিষেক৷ সাধুর মন্ত্রের জোরে ইঁদুরের বাঘ হয়ে ওঠার গল্প বলে অভিষেক জনতার উদ্দেশে আর্জি জানান, বিজেপিকে বাঘ থেকে ফের ইঁদুর করে দিতে হবে৷ মানুষ বিজেপিকে বাঘ করে দেওয়ার পরই তারা ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি৷ এ প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, বিজেপি ইডি, সিবিআই, বিচারব্যবস্থা ইত্যাদি ব্যবহার করেও জিততে পারছে না৷