‘আমি বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে লড়াই করতে চাই। কিন্তু যদি কোনও কারণে সেই জোট ভেঙে যায়, তবে আমি একাই এই লড়াই করব।’ মঙ্গলবার সে কথা জানিয়ে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি দিলেন আব্বাস সিদ্দিকি। আব্বাস বলেন, ‘আশা করি জোট হবে। তবে জোটের বিষয়ে কোনও সমস্যা হলে সে ক্ষেত্রে আমরা আমাদের মতাে করেই পথ চলব। একাই লড়াই করব।’
মঙ্গলবার ওয়াই চ্যানেলের সভায় তাঁর কথায় উঠে আসে জোট প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ‘যদি কোনও কারণে জোট না হয়, যদি আইএসএফ-কে একা লড়াই করতে হয়, তা হলে আপনারা আমাদের সঙ্গে আছেন তাে? ’
জনতার ইতিবাচক সাড়া পেয়ে তিনি বলেন, “ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট কিন্তু একাই লড়াই করবে। তবে আমরা একা নই, লড়াই করতে হলে অনেক ছােট ছােট দল আমাদের সঙ্গে থাকবে। তাদের নিয়েই আমরা লড়াই করব।’
ইতিমধ্যেই আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দল এআইএমআইএম, ঝাড়খণ্ড পার্টি নরেন-এর মতাে দলগুলাের সঙ্গে নিয়মিত যােগাযােগ রয়েছে আব্বাসের। কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট না হলে, ওই সব দলের জন্য যে বিকল্প দরজা খােলা রয়েছে, তা-ও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
বামফ্রন্টের সঙ্গে আইএস এফ এর জোট সমস্যা কেটে গেলেও কংগ্রেসের সঙ্গে সমস্যা রয়ে গিয়েছে বলে খবর। গত শনিবার হুগলির বৈদ্যবাটিতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের পরে সব পক্ষের নেতারা জানান, আর কয়েক দফা আলোচনা হলেই জোট চুড়ান্ত হয়ে যাবে।
জানা গিয়েছে, রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব এখনও আইএসএফের দাবি প্রসঙ্গে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। তাই রবিবার রাতে জোট নিয়ে কথা বলতে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে বৈঠকে বসেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম ও আইএসএফের চেয়ারম্যান নৌসাদ সিদ্দিকি।
সূত্রের খবর, সেখানেই জোট নিয়ে বিমানবাবুকে কংগ্রেসের সঙ্গে কথা বলতে অনুরোধ করেন নৌসাদ। যদিও, তার পর দু’দিন কেটে গেলেও, কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি কংগ্রেস। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ আব্বাস। মঙ্গলবারের সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তাই এক লড়াইয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।