• facebook
  • twitter
Sunday, 8 September, 2024

সাহায্য করব, কিন্ত্ত কোনও প্ররোচনায় পা দেব না, একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বাংলাদেশ নিয়ে বার্তা মমতার

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: গত কয়েকদিন ধরেই কোটা সংরক্ষণ সংস্কারের দাবিতে উত্তাল প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ৷ এবার সেই বাংলাদেশের পরিস্থিতির কথা উঠে এল একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে৷ তাও আবার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জির বক্তৃতায়৷ দিলেন সহযোগিতার বার্তা৷ বাংলাদেশের ভাই বোনেদের পাশে থাকার বার্তা শোনা গেল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর গলায়৷ কোনও অসহায় মানুষ বাংলার দরজায় কড়া নাড়লে তাঁদের আশ্রয় দেওয়া

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: গত কয়েকদিন ধরেই কোটা সংরক্ষণ সংস্কারের দাবিতে উত্তাল প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ৷ এবার সেই বাংলাদেশের পরিস্থিতির কথা উঠে এল একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে৷ তাও আবার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জির বক্তৃতায়৷ দিলেন সহযোগিতার বার্তা৷ বাংলাদেশের ভাই বোনেদের পাশে থাকার বার্তা শোনা গেল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর গলায়৷ কোনও অসহায় মানুষ বাংলার দরজায় কড়া নাড়লে তাঁদের আশ্রয় দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷

পাশাপাশি বাংলাদেশ নিয়ে কাউকে কোনও প্ররোচনায় পা না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি৷ প্রতিবেশী দেশের আন্দোলনের জন্য যেন বাংলায় কোনও উত্তেজনামূলক পরিস্থিতি তৈরি না হয় সেবিষয়ে সতর্ক করেছেন৷ তিনি বলেছেন, ‘আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ, বাংলাদেশ নিয়ে যেন আমরা কোনও প্ররোচনাতে পা না দিই৷ আমরা যেন কোনও উত্তেজনায় না যাই৷’ বাংলাদেশ নিয়ে একদিকে একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখছিলেন, ঠিক সেই সময় জানা যায়, বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের তরফে হাইকোর্টের সংরক্ষণ পুনর্বহালের রায়কে বাতিক করে দেওয়া হয়েছে৷ দেশে সংরক্ষণ ব্যবস্থার সংস্কারের পক্ষে রায় দিয়েছে সেদেশের শীর্ষ আদালত৷

জানানো হয়েছে, দেশের সরকারি চাকরিতে ৯৩ শতাংশ নিয়োগই হবে মেধার ভিত্তিতে৷ বাকি ৭ শতাংশের মধ্যে ৫ শতাংশ সংরক্ষণ থাকবে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য৷ বাকি ২ শতাংশ থাকবে অন্য শ্রেণির জন্য৷

উল্লেখ্য এদিন বাংলাদেশের নাগরিকদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আপনাদের কোনও পরিবার, পরিজন থাকলে বা কেউ পড়াশোনা করতে গিয়ে থাকলে আমরা তাঁদের সাহায্য করব৷ এখানে চিকিৎসা করাতে এসেছেন কিন্ত্ত ফিরতে পারছেন না, তাঁদের দিকেও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে৷’

একজন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে তিনি প্রতিবেশী দেশের ব্যাপারে অফিসিয়াল কোনও বক্তব্য রাখতে পারেন না৷ এটা তাঁর এক্তিয়ার বিরুদ্ধ- একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই একথা স্বীকার করে নিয়েছেন মমতা৷ কিন্ত্ত তারপরও বাংলাদেশি শরনার্থীদের উদ্দেশে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন তিনি৷ তাঁর কথায়, ‘আমি বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলতে পারি না৷ কারণ ওটা একটা অন্য দেশ৷ যা বলার ভারত সরকার বলবে৷ আমি বলতে পারি না৷ কিন্ত্ত অসহায় মানুষ বাংলার দরজা ধাক্কা দিলে আমরা তাঁদের আশ্রয় নিশ্চয়ই দেব৷’

এদিন বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অসমের প্রসঙ্গ টেনে আনেন মমতা৷ বলেন, ‘অসমে একটা গন্ডগোল হয়েছিল৷ দীর্ঘদিন তাঁরা আলিপুরদুয়ারে ছিলেন৷ আমিও তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম৷’

উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে সংরক্ষণ সংস্কারের দাবিতে ঢাকার রাস্তায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছে বহু মানুষে৷ সংবাদসংস্থা এএফপি অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা দেড় শতাধিক৷ এই মৃতু্য নিয়ে মমতা বলেছেন, ‘যারই রক্ত ছড়ুক, আমাদের সহমরি্‌মতা আর দুঃখ তাঁদের সঙ্গে আছে৷ আমরাও খবর রাখছি৷ ছাত্রছাত্রীদের তাজা প্রাণগুলো চলে যাচ্ছে৷’