“আমি যা করার শ্রেয়াকে নিয়েই করব”, মানিকতলা উপনির্বাচন প্রসঙ্গে বললেন সুপ্তি পান্ডে

নিজস্ব প্রতিনিধি, ১২ জুন– উত্তর কলকাতার মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে এবার তৃণমূলের প্রতীক লড়াইয়ে নামছেন সাধন-জায়া সুপ্তি পাণ্ডে। মানিকতলার ভোটের জন্য ইতিমধ্যেই চার সদস্যের কমিটি বানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কমিটিতে আছেন কুণাল ঘোষও। মানিকতলার ভোটে দায়িত্ব পেয়েই বুধবার সকালে সুপ্তি পাণ্ডের বাড়িতে পৌঁছে গেলেন কুণাল। সাধন-জায়ার সঙ্গে দেখা করে একপ্রস্থ বৈঠক সেরে নিলেন তিনি। সূত্রের খবর, মানিকতলার ভোট নিয়েই আলোচনা হয়েছে সুপ্তি পাণ্ডের সঙ্গে।

প্রসঙ্গত রাজ্যের বর্ষীয়ান বিধায়ক সাধন পাণ্ডের প্রয়াণের পর সেই শূন্যতা পূরণ করতে কাকে প্রার্থী করবে তৃণমূল? তা নিয়ে বিস্তর চর্চা চলেছে গত কয়েকদিন ধরে। চর্চায় ছিল সাধন-কন্যা শ্রেয়া পাণ্ডে ও সাধন-জায়া সুপ্তি পাণ্ডের নাম। মানিকতলার উপনির্বাচনের জন্য শেষ পর্যন্ত ঘাসফুল শিবির থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে সুপ্তি পাণ্ডেকে। এই বিষয়ে এদিন সাধন-জায়া জানান, ‘কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা আমার মেয়েকেও ভীষণ পছন্দ করেন। তাঁরও গ্রহণযোগ্যতা মারাত্মক।’ যে সময় সাধন পাণ্ডে অসুস্থ, তাঁর চিকিৎসার জন্য সুপ্তি পাণ্ডেকেও বাইরে থাকতে হচ্ছিল। সেই সময় শ্রেয়া পাণ্ডে যে প্রতি মুহূর্ত কর্মীদের পাশে ছিলেন, সে কথাও জানালেন সাধন-জায়া।

শ্রেয়ার টিকিট না পাওয়া প্রসঙ্গে সুপ্তি পাণ্ডে বলেন, ‘বয়স কম। আশা করতেই পারে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নিজেকে প্রমাণ করব। প্রমাণ করার সুযোগ পেলে ও জিতেও যেত। কিন্তু দলনেত্রী অভিজ্ঞতাকে জোর দিয়েছেন। আমাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ককে জোর দিয়েছেন। আমাদের মা-মেয়ের সম্পর্ক। মায়ের কাজে মেয়ে আসবে না, এটা তো হতে পারে না। একশো শতাংশ শ্রেয়া পাশে থাকবে। আমি যা করার শ্রেয়াকে নিয়েই করব।’


উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার যখন মানিকতলার প্রার্থী হিসেবে সুপ্তি পাণ্ডের নাম প্রকাশ্যে আসে, তখন নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলে মায়ের সঙ্গে নিজের ছবি শেয়ার করেছিলেন শ্রেয়া। সঙ্গে লিখেছিলেন, ‘মা, তোমার জন্য বাবা নিশ্চয়ই খুব গর্বিত।’ নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলেও মায়ের সঙ্গে কভার ইমেজ সেট করেছেন শ্রেয়া। সুপ্তি পাণ্ডে যে মানিকতলা থেকে জয়ী হবেন, সে ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী মানিকতলার ভোটের দায়িত্ব পাওয়া কুণাল ঘোষও।

এদিন সাধন-জায়ার সঙ্গে বৈঠকের পর কুণাল বলেন, “সুপ্তিদি হাইলি পলিটিক্যাল। বৌদি সব কর্মীদের নাম ধরে চিনতেন। কার কী সমস্যা, অসুবিধা জানতেন। অনেক ক্ষেত্রেই দাদা (সাধন পাণ্ডে) যেতে পারেননি, বৌদি কর্মসূচিতে পৌঁছে গিয়েছেন। কিন্তু বৌদি সব সময় সেই চৌকাঠটা বজায় রেখে দিয়েছেন। দাদার অকাল প্রয়াণে এবার তো তাঁকে আসতেই হবে। রেকর্ড ভোটে জিতে মানিকতলার উপনির্বাচনে সুপ্তি পাণ্ডে বিধায়ক হতে চলেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গাইডলাইন করে দিয়েছেন। পরিবারের মতো হইহই করে নেমে পড়েছি আমরা। একটা হোমওয়ার্ক শুরু করতে হয়। সেই হোমওয়ার্ক চলছে।”