দেবকে সাধুবাদ জানিয়েও তীব্র কটাক্ষ হিরণের

অভিষেক রায়, খড়গপুর, ৩ মে— মনোনয়ন পেশ করার জন্য খড়গপুর থেকে লোকাল ট্রেনে চেপে মেদিনীপুর গেলেন ঘাটাল লোকসভার বিজেপি প্রার্থী তথা খড়গপুর সদরের বিধায়ক ডক্টর হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায়৷ গতকাল এই কেন্দ্রে মনোনয়ন পেশ করেছেন দেব৷ মনোনয়ন পেশের আগে চিরাচরিত প্রথায়, পুজো না দিয়ে রক্তদান করে চমক দিয়েছিলেন৷ দেবের সেই রক্তদানকে সাধুবাদ জানালেন হিরণ৷ তারপরেই প্রতিদ্বন্দ্বীকে তীব্র কটাক্ষ করে হিরণ বলেন, গত ১০ বছর ধরে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান এলাকার সাংসদের জানা উচিত, যে রক্ত তিনি ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে দান করলেন সেই রক্ত ঘাটালের হাসপাতালে প্রসেসড হবে না৷ ওই রক্ত মেদিনীপুরে জেলা হাসপাতালে পাঠাতে হবে৷ কারণ একমাত্র মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালেই রক্তকে ভেঙে প্লাজমা, প্লেটলেট, রেড ব্লাড সেল আলাদা করে সংরক্ষিত করা হয়৷ আগের মতো পুরো রক্ত সংরক্ষণ হয় না৷ রোগীর চাহিদা মত তাকে রক্তের উপাদান দেওয়া হয়৷ কিন্ত্ত সেই সুবিধে ঘাটালে নেই৷ ফলে ঘাটালে দান করা রক্ত এই দেওয়া নেওয়ার মধ্যে সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷ মানুষের জীবন নিয়ে এই খেলা বন্ধ করতে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হিসেবে দেব যে ব্যর্থ সে কথাই তুলে ধরেন হিরণ৷
দেবের রক্তদানের পাল্টা চমক কি এই লোকাল ট্রেনে মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়া, এই প্রসঙ্গে হিরণ বলেন, আমি খড়্গপুরে থাকি৷ আপনারা দেখেছেন তিন বছর বিধানসভায় যাতায়াত করার সময় ট্রেনেই যাতায়াত করেছি৷ আমার আপাতত একটা গাডি় আছে৷ আমার এখানকার কার্যকর্তারা যারা তিন বছর ধরে আমার সঙ্গে আছেন তাদের সকলকে নিয়ে একটা গাডি়তে যাওয়া সম্ভব নয়৷ তাই ট্রেনে ট্রেনেই যাচ্ছি৷ মেদিনীপুর স্টেশন থেকে টোটো করে গন্তব্যে যাব৷ মার্সিডিজ করে টা টা বাই বাই করে যদি চলে যাই তাহলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ হয় না৷ সংসদে দাঁডি়য়েও মানুষের দুঃখ কষ্টের কথা বলা যায় না৷ হিরণের সাফকথা, আমি জিতলে মানুষের জয় হবে৷

মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালও এ দিন মনোনয়ন পেশ করেন৷ কৌশল্যা কালীমন্দির, সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, বটতলাচক কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে তিনি মনোনয়ন পেশ করতে যান৷ এদিন মনোনয়ন পেশ করেন মেদিনীপুরের সিপিআই প্রার্থী
বিপ্লব ভট্ট৷