সাহস থাকলে সামনে থেকে লড়ুন, বিজেপিকে নিশানা হেমন্তের

আর মাত্র এক সপ্তাহ। তারপরই ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা সুপ্রিমো হেমন্ত সোরেন। এক্স হ্যান্ডেলে একটি প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট পোস্ট করে হেমন্তের হুঁশিয়ারি, সাহস থাকলে সামনে থেকে লড়ুন। ওই প্রতিবেদনে লেখা রয়েছে, হেমন্তের ভাবমূর্তি খারাপ করতে বিজেপি প্রচুর টাকা খরচ করছে।

হেমন্ত লিখেছেন, সাহস থাকলে সামনে থেকে লড়ুন, কাপুরুষ ব্রিটিশদের মতো ক্রমাগত পেছন থেকে আক্রমণ কেন? কখনও ইডি, কখনও সিবিআই, কখনও কোনও সংস্থা – কখনও অন্য কেউ। এখন আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে কোটি কোটি টাকা খরচ হয়েছে।

বিজেপির ‘ডবল ইঞ্জিন’-এর সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিজেপি সরকার এর আগে প্রায় পাঁচ বছর ধরে রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল। স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে, রেশন কার্ড বাতিল করেছে এবং ঝাড়খণ্ড পাবলিক সার্ভিস কমিশন (জেপিএসসি) পরীক্ষা নেয়নি। বিদ্যৎ বিল ক্রমাগত বৃদ্ধি করা হয়েছে।


হেমন্তের প্রশ্ন, পাঁচ বছরে ১৩ হাজার স্কুল বন্ধ হল কেন? কেন ১১ লক্ষ রেশন কার্ড বাতিল হল? পাঁচ বছরে কেন একটিও জেপিএসসি পরীক্ষা হয়নি? কেন পাঁচ বছরে বার্ধক্য/বিধবা পেনশন বাড়ানো হয়নি এবং পাওয়া যায়নি? কেন পাঁচ বছরে রাজ্যে ক্ষুধার কারণে শত শত মৃত্যুর ঘটনা ঘটল? পাঁচ বছরে কেন যুবকদের সাইকেল বানিয়ে কলা বিক্রির পরামর্শ দেওয়া হল? কেন পাঁচ বছরে ঝাড়খণ্ডের বিদ্যুৎ বাংলাদেশের কাছে বিক্রি হল?

ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা সরকারের কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন হেমন্ত। তিনি লেখেন, কাজের নিরিখেই জনগণের কাছে ভোট চাইছি। করোনাকালে ঝাড়খণ্ডের লোকেদের বিমানে বাড়িতে আনার পাশাপাশি সমস্ত ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। এমন কাজও করেছে, যা ওরা কখনও ভাবতেই পারেনি। আগামীতে যুব সমাজের প্রতিটি সমস্যা সততার সঙ্গে সমাধান করব। প্রতিটি ঝাড়খণ্ডীর স্বার্থে আমরা কাজ করব।

আগামী ১৩ নভেম্বর এবং ২০ নভেম্বর, দুই দফায় ঝাড়খণ্ডের ৮১টি আসনে নির্বাচন। ভোটগণনা ২৩ নভেম্বর। ২.৬ কোটি ভোটার রয়েছেন, যার মধ্যে ১.৩১ কোটি পুরুষ ভোটার এবং ১.২৯ কোটি মহিলা ভোটার। ১১.৮৪ লক্ষ ভোটার প্রথমবারের জন্য ভোট দেবেন। যুব ভোটার রয়েছেন ৬৬.৮৪ লক্ষ ভোটার।

২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ৩০টি আসনে জয় পেয়েছিল। বিজেপির দখলে গিয়েছিল ২৫টি আসন। আর কংগ্রেস পায় ১৬টি আসন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিজেপি ৩৭টি আসন পেয়েছিল। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ১৯টি এবং কংগ্রেস ৬টি আসনে জিতেছিল।