নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে উঠে দিঘায় জগন্নাথ মন্দির সংক্রান্ত মামলা। এদিন দিঘায় জগন্নাথের মন্দির তৈরিতে ছাড়পত্র দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, -‘হিডকো রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতেই পারে, এতে ভুল কী রয়েছে? পরিকাঠামো উন্নয়নের দায়িত্ব রাজ্যের। তারা যে কোনও বিভাগকে দায়িত্ব দিতে পারে, কোনও সমস্যা নেই’।আগামী ৭ জুলাই দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের কথা রয়েছে ।তার আগে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়।
মামলাকারী দাবি, ‘ হিডকো শুধু রাজারহাট উন্নয়নের কাজ করতে পারে, এর বাইরের কোন জায়গায় পরিকাঠামো উন্নয়ন করার ক্ষমতা হিডকোর নেই’। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের হয়। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি চলে । এদিনের শুনানিতে মামলাকারীর বক্তব্য শোনার পর প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন, -‘রাজ্যের বিভিন্ন বিভাগ বিভিন্ন কাজ করতেই পারে। এতে ভুল কী আছে?’ দিঘাতে চলছে উচ্ছেদ অভিযান।
দিঘার সৌন্দর্যায়নের জন্য সচেষ্ট দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। বেআইনি দখল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া বার্তার পর ওল্ড দিঘার সি-হক ঘোলা থেকে নিউ দিঘার পুলিশ হলিডে হোম ঘাট পর্যন্ত সৈকত সরণি জুড়ে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকান-পাট উচ্ছেদে অভিযান চালায় দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ।এই জগন্নাথ মন্দিরে দায়িত্বে রয়েছে হিডকো সংস্থা। আর এই সংস্থা মূলত রাজারহাটে উন্নয়নের কাজ করে । এর বাইরের কোনও জায়গায় পরিকাঠামো উন্নয়ন করার ক্ষমতা নেই । কার্যত এই যুক্তিতে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল মামলা । আর বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি। সেখানেই মামলা খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি।
এদিনের এই পর্যবেক্ষণের পরই দিঘায় জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ ও উদ্বোধন ঘিরে তৈরি হওয়া সব জট কেটে গেল। প্রসঙ্গত, প্রায় ২০০ কোটি টাকা খরচ করে নিউ দিঘা স্টেশন সংলগ্ন নন্দকুমার ১১৬বি জাতীয় সড়কের পাশে এই মন্দিরটি তৈরি হচ্ছে। রাজস্থান থেকে বেলেপাথর আনা হয়েছে এই মন্দিরটি তৈরির জন্য। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মতোই উচ্চতা হবে দিঘার মন্দিরটিরও। ইতিমধ্যেই কাজ প্রায় শেষের পথে।