• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

টেটের ওএমআর শিট দুর্নীতি খুঁজতে বিশ্বের যে কোনও বিশেষজ্ঞর দ্বারস্থ হতে নির্দেশ হাইকোর্টের

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে উঠে ২০১৪ প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা। সেই প্রাথমিক টেট ২০১৪-র ওএমআর শিট মামলায় বড় নির্দেশ দিল  কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলায় সিবিআই-এর তদন্তে অসন্তোষ কলকাতা হাইকোর্টের। প্রাথমিকে পরীক্ষার ওএমআর শিট হার্ডডিস্ক কোথায়? বিস্তারিত তথ্য  চাইল কলকাতা আদালত। মেটা ডেটা/ ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট থেকে আসল হার্ডডিস্কের হদিশ দিতে

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে উঠে ২০১৪ প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা। সেই প্রাথমিক টেট ২০১৪-র ওএমআর শিট মামলায় বড় নির্দেশ দিল  কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলায় সিবিআই-এর তদন্তে অসন্তোষ কলকাতা হাইকোর্টের। প্রাথমিকে পরীক্ষার ওএমআর শিট হার্ডডিস্ক কোথায়? বিস্তারিত তথ্য  চাইল কলকাতা আদালত। মেটা ডেটা/ ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট থেকে আসল হার্ডডিস্কের হদিশ দিতে ব্যর্থ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সিবিআই, ইডি-র বাইরে বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে নিয়োগের নির্দেশ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার।

তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘ গত ২ বছরে প্রাথমিকে দুর্নীতির ওএমআর শিট তদন্তের অগ্রগতি নেই। ছয় সপ্তাহে ওএমআর শিট -এর মেটা ডেটা রহস্যের সমাধানের সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা। সরকারি বা বেসরকারি বিশেষজ্ঞ সংস্থা, এমনকি এথিক্যাল হ্যাকারের সাহায্য নিতে সিবিআই-কে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এরজন্য প্রয়োজনীয় অর্থ দিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। আগামী সাত সপ্তাহ পর ফের এই মামলার শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত সম্প্রতি প্রাথমিক টেট ওএমআর শিট  মামলায় সিবিআই তদন্তে অসন্তুষ্ট হন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। ‘প্রাথমিক টেট ২০১৪ ওএমআর শিট-এর প্রথম হার্ডডিস্ক কোথায়? হার্ডডিস্ক না থাকলে ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট কোথায়?’ সিবিআই-এর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা-র। গত শুনানি পর্বে শুক্রবারের মধ্যে সিবিআই-কে অবস্থান জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি মান্থা।

একইসঙ্গে বিচারপতি মান্থা জানিয়েছেন, ‘প্রয়োজনে দেশের তথ্য প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত প্রথম সারির সংস্থাগুলির সাহায্য নিক সিবিআই’। সেগুলি উইপ্রো বা টিসিএস-এর মতো সংস্থা হতে পারে বলে জানান বিচারপতি। এমনকী বিশেষ প্রয়োজনে ওই তথ্য খুঁজে পেতে বিশ্বের যে কোনও সংস্থাকে নিয়োগ করার জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। তাঁর পর্যবেক্ষণ,’এই মামলায় ওএমআরশিট-এর তথ্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তা উদ্ধার করা জরুরি’। আদালত জানিয়েছে,’তথ্য উদ্ধারের জন্য যে খরচ হবে, তা বহন করবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং রাজ্য সরকার’। আগামী সাত সপ্তাহ পরে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।