শুক্রবার মুকুল রায় তৃণমূলে ফেরার পর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে যখন জোর জল্পনা শুরু হয়ে গেছে বিজেপিতে যােগ দেওয়া আর কারা কারা আবার তৃণমুলে ফিরছেন।
ঠিক সেই মুহূর্তে শনিবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুনাল ঘােষের বাড়িতে মিষ্টির হাঁড়ি নিয়ে পৌঁছে গেলেন রাজীব ব্যানার্জি। এরপর দীর্ঘক্ষণ আলােচনা হয় দুই নেতার মধ্যে। সেই সময় রাজীব ব্যানার্জি সাংবাদিকদের জানান, তিনি এমনই সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন।
পাশাপাশি কুনাল ঘােষও রাজীবের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে দায় ঝেড়ে জানিয়ে দেন তাদের মধ্যে সেবিষয়ে কোনও কথা হয়নি। এমনকি রাজীবের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত যা নেওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নেবেন।
তবে রাজীন্দ্রে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জি বলেন, এতদিন কোনও সাক্ষাৎ হল না, আর এখন সৌজন্য সাক্ষাৎ আমরা কি কিছুই বুঝি না?
এদিন শেওড়াফুলিতে রাজীবের সঙ্গে কুনাল ঘােষের বৈঠক প্রসঙ্গে শ্রীরামপুরের সাংসদের কটাক্ষ, কুনাল ঘােষের কাছে গেল বলেই কি রাজীব গঙ্গাজলে শুদ্ধ হয়ে গেল নাকি? ডােমডুড়ের প্রাক্তন বিধায়কের বিরুদ্ধে তার অভিযােগ, ভােটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অনেক কুৎসা করেছে রাজীব।
এমনকি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে তৃণমূল কর্মীদের উপর অত্যাচার করেছেন। তাই তার উপর কর্মীদের ক্ষোভ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, কর্মীরাই দলের সম্পদ। দলে বুথ স্তরের কর্মীদের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি।
অন্যদিকে শনিবার কুনাল ঘােষের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে রাজীৱে বিজেপিকে তােপ দাগা প্রসঙ্গ তুলেও এদিন কল্যাণ বাবু বলেন, ভােটের পাঁচ দিন আগে বাকরায় কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের নিয়ে এসে মিছিল করে দাঙ্গা লাগাতে চেয়েছিলেন ডােমজুড়ের বিজেপি প্রার্থী, আর এখন তিনি উলটো সুরে গান গাইছেন।