নিজস্ব প্রতিনিধি– শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে উঠে সন্দেশখালি বিষয়ক মামলা৷ এদিন গঙ্গাধরের মামলা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে ফেরত পাঠালেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত৷ ভাইরাল ভিডিও নিয়ে এফআইআর খারিজের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন গঙ্গাধর কয়াল৷ ভাইরাল ভিডিও নিয়ে সিবিআই তদন্তেরও দাবি জানান বিজেপি নেতা৷ সন্দেশখালির ভাইরাল ভিডিওকাণ্ডে গত ১০ মে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়াল৷ তাঁর ছবি ব্যবহার করে ভুয়ো ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি৷ ভুয়ো ভিডিও তৈরি করে তা প্রকাশ্যে আনার অভিযোগে এবং কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সন্দেশখালি দু’নম্বর মণ্ডলের বিজেপি সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল৷ তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর খারিজের আবেদনও জানান গঙ্গাধর৷ এদিন সন্দেশখালিতে বিজেপি নেত্রী মাম্পি দাসের গ্রেফতারি মামলায় বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য পুলিশ৷ ব্যক্তিগত বন্ডে সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী জামিন পেয়েছেন৷ এফআইআরে থাকা জামিন অযোগ্য ধারায় স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট৷ ‘বাকি ধারার ক্ষেত্রে পুলিশ সুপারের নজরদারিতে তদন্ত চলবে’বলে নির্দেশ দেয় আদালত৷ বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, ‘আদালতের অনুমতি ছাড়া চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করতে পারবে না পুলিশ’৷ আগামী ১৯ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি৷ গত মঙ্গলবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে আত্মসমর্পণ করতে যান সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী মাম্পি দাস৷ এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করে ৮ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত৷ এরপর গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, -‘নতুন মামলায় পিয়ালিকে গ্রেফতার দেখাতে পারবে না পুলিশ৷ পিয়ালিকে আপাতত হেফাজতেও নিতে পারবে না তারা৷ শনিবার পর্যন্ত পিয়ালি দাসের বিরুদ্ধে নেওয়া যাবে না কোনও পদক্ষেপ’৷