‘গদ্দার’, শওকতকে পাশে নিয়ে আরাবুলকে নিশানা সায়নীর

ভাঙড়ে সম্প্রতি শওকত মোল্লা ও আরাবুল ইসলামের দ্বন্দ্ব কারও অজানা নয়। এবার শওকতকে পাশে নিয়ে তৃণমূলের কর্মিসভা থেকে আরাবুলকে একহাত নিলেন তৃণমূল সাংসদ সায়নী ঘোষ। রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজারে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মিসভা থেকে আরাবুলের নাম না করে ‘ঘরশত্রু বিভীষণ’, ‘গদ্দার’ বলে আক্রমণ শানিয়েছেন সায়নী। পাশাপাশি কর্মিসভায় মাইক হাতে শওকতের পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। এই আবহে আরাবুল গোষ্ঠী কড়া বার্তা পেল বলে মনে করা হচ্ছে।

সম্প্রতি জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন আরাবুল ইসলাম। তিনি ৫ মাস ধরে জেলবন্দি ছিলেন। তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লার সঙ্গে তাঁর কলহ নতুন নয়। আরাবুলের জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পরেও তা মেটেনি। ভাঙড়ে আরাবুল গোষ্ঠী ও শওকত গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব এখনও জারি রয়েছে। এই আবহেই আরাবুলকে পরক্ষে বার্তা দিলেন সাংসদ সায়নী ঘোষ।

রবিবারের সভা থেকে সায়নী ‘গদ্দার হটাও, ভাঙড় বাঁচাও’ স্লোগান তোলেন। এই স্লোগানের মাধ্যমে তিনি আরাবুলকেই নিশানা করতে চেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এদিন সায়নী বলেন, ‘ভাঙড়ে আইএসএফ, বিজেপির সঙ্গে লড়াই পরে। আগে নিজেদের ঠিক করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভাঙড়ে তৃণমূলকে একটি পরিবারের মতো করে তুলেছেন শওকত মোল্লা। তিনি পড়ে থেকেছেন ভাঙড়ে। এখন ভাঙড়ের মানুষের কাছে শওকত মোল্লার গ্রহণযোগ্যতা মেনে নিতে যদি কারও কষ্ট হয়, তবে সমস্যা তাঁরই।’


সায়নী অভিযোগ করেন, তৃণমূলের ভিতরে থেকে কয়েকজন নেতা পিছন থেকে ছুরি মারছেন। তাঁদের চিহ্নিত করার নির্দেশ দেন তিনি। সম্প্রতি শওকতকে ‘হার্মাদ’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন আরাবুল ইসলাম। এরপরই রবিবার কর্মিসভার আয়োজন করেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা। এই সভা থেকেই কার্যত আরাবুল ও তাঁর গোষ্ঠীকে সতর্ক করে দেওয়া হয়।