অভিষেক আচার্য, বারাকপুর: এক মাসেরও বেশি রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হালিশহর জেঠিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্যা নমিতা দাশগুপ্ত। বন্ধ মোবাইল ফোন। একমাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও তাঁর হদিশ পায়নি পুলিশ। নেপথ্যে রাজনীতি নাকি অন্য কিছু? ক্রমশ ঘনাচ্ছে রহস্য।
সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহর থানার বরেন্দ্রগলি মেন রোডের বাসিন্দা নমিতা দাশগুপ্ত। তিনি দীর্ঘদিন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা ছিলেন। পরবর্তীতে লোকসভা ভোটের আগে দল বদলে যোগ দেন বিজেপি-তে। গত ৮ জুন সকালে টোটোয় বাড়ি থেকে বের হন ওই মহিলা। দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেননি তিনি। এরপর পরিবারের সদস্যরা ফোন করলেও দেখেন সুইচড অফ। টোটো চালককে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, নমিতাদেবীকে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতাল সংলগ্ন গোলপার্ক জলের ট্যাঙ্কের সামনে নামিয়ে দিয়েছিলেন।
বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ২ দিন কেটে গেলেও হদিশ মেলেনি মহিলার। এরপর হালিশহর থানায় নমিতাদেবীর পুত্র সৌভিক দাশগুপ্ত মিসিং ডায়েরি করেন। পরে সৌভিক হালিশহর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, কল্যাণী এ ব্লকের বাসিন্দা শিবনাথ ঘটকের সঙ্গে তাঁর মা নাকি কথা বলতেন। নমিতা দেবীর কোনও খোঁজ না মেলায় উদ্বিগ্ন তাঁর পরিবার।
নমিতা দেবীর স্বামী রানা দাশগুপ্ত বলেন, পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মোবাইলের কল লিস্ট খতিয়ে দেখে তদন্ত করছে। প্রসঙ্গত, নমিতা দেবী ও তাঁর স্বামী রানা দাশগুপ্ত লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। ফলত এর পিছনে রাজনীতি? নাকি যোগ রয়েছে শিবনাথ ঘটকের? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।