কলকাতা, ১৮ এপ্রিল: অবশেষে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনার রিপোর্ট এল ইডি-র হাতে। প্রায় সাড়ে তিন মাসের চেষ্টায় এই রিপোর্ট হাতে পেল ইডি। বিভিন্ন টানাপোড়েনের পর গত জানুয়ারি মাসে সুজয় কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেটি মিলিয়ে দেখার জন্য পাঠানো হয় সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবে। কিন্তু রিপোর্ট পেশ করতে দেরি হওয়ায় আদালতের ভর্ৎসনা শুনতে হয় ইডি-কে। অবশেষে ফরেন্সিক ল্যাবের কাছে চিঠি দিয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়। সেই চিঠির পর সাড়ে তিন মাসের মাথায় ইডির হাতে এল সুজয় কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা। তবে ভয়েস ক্লিপের সঙ্গে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর মিলেছে কি না তা এখনও জানা যায়নি। কারণ সেই রিপোর্টে কী লেখা আছে তা এখনও প্রকাশ্যে আনা হয়নি।
প্রসঙ্গত নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানোর পর গ্রেপ্তার করা হয় কালী ঘাটের কাকুকে। এরপর তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের চেষ্টা করছিল ইডি। কিন্তু জেল হেফাজতে অসুস্থতার জন্য একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। সেজন্য তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছিল না। হাসপাতালের তরফেও কাকুর শারীরিক অবস্থা ভালো নেই বলে রিপোর্ট দেওয়া হয়। সেজন্য কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহে জটিলতা তৈরি হয়।
শেষমেশ চলতি বছরের জানুয়ারিতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে জোকা হাসপাতালে নিয়ে যায় ইডি। পিজি থেকে জোকা প্রায় ৪০ মিনিট পথ ৫জি অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তাঁর নিরাপত্তায় সিআরপিএফ জওয়ান নিয়োগ করা হয়। ওইদিন দুপুর থেকেই তাঁর গলার নমুনা সংগ্রহের জন্য ৪ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করা হয়। রাত ১০টা নাগাদ জোকা ইএসআই হাসপাতালে পৌঁছন সুজয় কৃষ্ণ।জোকাতে রুটিন চেকআপের পর ভয়েস স্যাম্পল সংগ্রহের কাজ শুরু হয়। টানা দুঘণ্টা কাউন্সেলিংয়ের পর অবশেষে ‘কাকু’কে ইএনটি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অবশেষে দীর্ঘ সময় পর সেই কণ্ঠস্বরের রিপোর্ট এল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে।