• facebook
  • twitter
Sunday, 24 November, 2024

ঝাড়গ্রাম লোকসভা তৃণমূলের দখলে গেলেও, বেশ কিছু অঞ্চলে নতুন করে শক্তিবৃদ্ধি করেছে বিজেপি

গোপেশ মাহাতো, ঝাড়্গ্রাম- ঝাড়্গ্রাম লোকসভা আসনটি তৃণমূল দখল করতে পারলেও পুরসভার বেশ কিছু ওযার্ডে শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি বিনপুর বিধানসভার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় শক্তি বৃদ্ধি করেছে বিজেপি। তবে অঞ্চলগুলি শাসক দল নিজেদের দখলে রাখতে পারলেও বেশ কিছু আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। বিনপুর বিধানসভার বিনপুর অঞ্চলটি তৃণমূলের হাতে থাকলেও এই পঞ্চায়েতের প্রধান ও অঞ্চল সভাপতি সহ মোট

গোপেশ মাহাতো, ঝাড়্গ্রাম- ঝাড়্গ্রাম লোকসভা আসনটি তৃণমূল দখল করতে পারলেও পুরসভার বেশ কিছু ওযার্ডে শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি বিনপুর বিধানসভার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় শক্তি বৃদ্ধি করেছে বিজেপি। তবে অঞ্চলগুলি শাসক দল নিজেদের দখলে রাখতে পারলেও বেশ কিছু আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। বিনপুর বিধানসভার বিনপুর অঞ্চলটি তৃণমূলের হাতে থাকলেও এই পঞ্চায়েতের প্রধান ও অঞ্চল সভাপতি সহ মোট আটটি বুথে লিড দিয়েছে বিজেপি। ষোলটি বুথের মধ্যে আটটি আসনেই বিজেপি লিড নিয়েছে।

যদিও এই বিষয়ে বিনপুর এক ব্লক নেতৃত্বের বক্তব্য, শেষ মুহুর্তে বিজেপির পক্ষ থেকে প্রচুর টাকা ছড়ানো হয়েছিল। পাশাপাশি এই নির্বাচন দিল্লীর বলে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছিল। তবে স্থানীয় সূত্রের খবর, তৃণমূল প্রার্থীর প্রচার নিয়ে স্থানীয় স্তরের নেতৃত্বদের তেমন প্রাধান্য দেওয়া হয়নি বলে দলের কর্মীদের মধ্যে একটা ক্ষোভ ছিল। সেই সঙ্গে স্থানীয় স্তরে তৃণমূল এবং যুব তৃণমূলের মধ্যে একটা দ্বন্দ্ব ছিল। দলীয় সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, এই দ্বন্দ্বের জেরে দলেরই একটা অংশ দলের বিরোধিতা করেছে। যুব তৃণমূল প্রচারে সেইভাবে অংশ নেয়নি বলেও দলের নেতৃত্বের একাংশ অভিযোগ করেছে। তারই প্রতিফলন আটটা বুথের ফলাফলে। বিনপুর গ্রামপঞ্চায়েতের অধীন মোট বুথ হল ১৬টি। এর মধ্যে কুই দক্ষিণ বুথে বিজেপি ১০৬ ভোটে লিড করেছে। বিনপুর হাইস্কুলের দুই বুথে বিজেপি ২১৪ ভোটে লিড করেছে। বিনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় বুথে বিজেপি ১৮৩ ভোটে লিড দিয়েছে। বিনপুর স্পেশাল প্রাইমারি স্কুল বুথে বিজেপি ২৫৬ ভোটে লিড করেছে। চাঁপাবনি বুথে বিজেপি ৩৮ ভোটে লিড করেছে। আক্রো বুথে বিজেপি ১৩ ভোটে লিড করেছে। বেটলি (আশারদা) বুথে বিজেপি ৫৫ ভোটে লিড করেছে। বেটলি বুথে বিজেপি ২৯ ভোটে লিড করেছে। এর মধ্যে বিনপুর স্পেশাল প্রাইমারি বুথটি বিনপুর গ্রামপঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধানের এবং বেটলি বুথটি বিনপুর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতির। এই আটটি ছাড়া বাকি আটটি বুথে তৃণমূল লিড করেছে। এই অঞ্চলে তৃণমূলের মোট প্রাপ্ত ভোট ৫৮৮৪ এবং বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ৫০১৭। এই অঞ্চলে তৃণমূলের মোট লিড ৮৬৭। কিন্তু এখানে আটটি আসন হাতছাড়া হওয়ায় প্রশ্ন উঠছে। এই অঞ্চলের আক্রো বুথটিতে বছর দশ-বারো আগে মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা ভোট দিতেন। বর্তমানে তিনি ঝাড়গ্রাম পুর এলাকার ভোটার। তবে কেন এই আট বুথ বিজেপির দখলে গেল, তা নিয়ে কাটা ছেঁড়া শুরু হয়েছে দলের পক্ষ থেকে।

যদিও এই বিষয়ে বিনপুর এক ব্লক তৃণমূল সভাপতি তারাচাঁদ হেমরম বলেন, “প্রচারে আমাদের কোনও খামতি ছিল না। তবে শেষ মুহুর্তে বিজেপির লোকজন অনেক অর্থ ছড়িয়েছে। পাশাপাশি, এই নির্বাচন দিল্লির বলে একটা অপপ্রচার চালিয়েছিল। আর এইভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে।”

বিনপুর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি হিরেন হাঁসদা বলেন, “পঞ্চায়েত বা বিধানসভা ভোটে এই সমস্যা ছিল না। ‘কেন্দ্রের মোদী এবং রাজ্যে দিদি’ এমন একটা মানসিকতা কিছু মানুষের মধ্যে কাজ করেছে। এর সঙ্গে বিজেপি এবং সিপিএমের একটা আঁতাত ছিল। সেইজন্য ওই বুথগুলিতে বিজেপি জিতেছে।”