গোপেশ মাহাত, ঝাড়্গ্রাম– নিজেদের জয়ী আসন ধরে রাখতে না পারলেও আগামী দিনে লড়াইয়ের ময়দানে আছেন তিনি। এবার লোকসভা নির্বাচনে ঝাড়্গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রটি হাতছাড়া হয়েছে বিজেপি-র। তবে আগামী দিনে রাজনৈতিক ময়দান ছেড়ে যাবেন না বলে জানিয়েছেন ঝাড়গ্রাম লোকসভা আসনের বিজেপির প্রার্থী প্রণত টুডু। ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এই চিকিৎসক ইস্তফা দিয়ে পদ্ম শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন। বিজেপি-র টিকিটে প্রথমবার লোকসভা নির্বাচনের মতো বড় নির্বাচনে দাঁড়িয়ে তাঁকে হার শিকার করতে হয়েছে তৃণমূল প্রার্থীর কাছে। সাতটি বিধানসভা নিয়ে ঝাড়গ্রাম লোকসভা আসনে তাঁর পক্ষে ভোট পড়েছে ৩৮.২%। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ৫,৬৯,৪৩০টি। অন্যদিকে তৃণমূল প্রার্থী কালিপদ সোরেনের পক্ষে ভোট পড়েছে ৪৯.৮৭ %। মোট ভোট পেয়েছেন ৭,৪৩,৪৭৮টি।
তৃণমূল প্রার্থীর জয়ের ব্যবধান ১,৭৪,০৪৮। তবে ফলাফল যাই হোক না কেন, প্রণৎবাবু হতাশ হতে নারাজ। প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ মানুষ তাঁকে আশির্বাদ করেছেন। এটা তাঁর কাছে যথেষ্ট বড় বিষয় বলে তিনি বলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ডাক পেয়েছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসে যথেষ্ট উৎসাহিত ডাক্তারবাবু। বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে হবেন সেই দিকে তাকিয়ে সবাই। ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপিরও সাংগঠনিক রদ বদল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এখনই সাংগঠিক কোনও দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হয়নি।
তবে বর্তমানে বিধানসভা ভিত্তিক ফলাফল নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে সাংগঠনিক স্তরে। কেন তাদের হার হল? জনগণের কোন অংশ বিজেপিকে ভোট দিল না? যাঁরা ভোট দিলেন, তাঁরা সমাজের কোন অংশ? এই সব কিছু নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে। হেরে গিয়েও তাঁর আত্মবিশ্বাস টলেনি। বরং দ্বিগুণ উৎসাহে বছর পঁয়তাল্লিশের এই চিকিৎসক ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছেন রাজনীতিতে। গেরুয়া শিবিরের হয়েই আগামী দিনগুলিতে তার রাজনৈতিক কার্যকলাপ চলবে বলে জানান। প্রনৎ টুডু বলেন, “হেরে গেছি ঠিকই। তবে যে কোনও পরাজয় থেকে মানুষ অনেক কিছু শেখে। সাড়ে পাঁচ লক্ষের বেশি মানুষ আমাকে আশির্বাদ করেছেন। তাই লড়াইয়ের ময়দানে আছি এবং থাকব। দল যেমন দায়িত্ব দেবে, সেইভাবে কাজ করব।”