‘নির্বাচনী বন্ড তো ঝাঁকি হ্যায়, পিএম কেয়ার্স বাকি হ্যায়’

শ্যামল কুমার মিত্র

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে (১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪) ‘নির্বাচনী বন্ড’ প্রকল্পটি ‘অসাংবিধানিক’, নাগরিকের বাক্স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং তথ্য জানার অধিকার লঙ্ঘনকারী রূপে আখ্যা দেওয়া হয়৷ সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে নির্দেশ দেয়, ৬ মার্চের মধ্যে ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল থেকে কেনা সমস্ত বন্ডের হিসাব ভারতের নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হবে, নির্বাচন কমিশন তা সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে বাধ্য থাকবে৷ বিজেপি চায়নি লোকসভা নির্বাচনের আগে এই তথ্য প্রকাশ্যে আসুক৷ এসবিআই সুপ্রিম কোর্টের কাছে ৩০ জুন পর্যন্ত সময় চায়, কিন্ত্ত সুপ্রিম কোর্টের কড়া অবস্থানে এসবিআই ১২ মার্চ এই তথ্য কমিশনের হাতে তুলে দেয়৷ সংবাদমাধ্যমে এ পর্যন্ত যে সব তথ্য উঠে এসেছে তা থেকে এটা স্পষ্ট একাধিক কৌশলে বিজেপি নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কর্পোরেট অনুদান আদায় করেছে যা অর্থাঙ্কে বিপুল— (১) বিভিন্ন সংস্থায় ইডি, সিবিআই, আয়করের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সি হানা দিয়েছে৷ সংশ্লিষ্ট সংস্থা বন্ডের মাধ্যমে বিজেপিকে অর্থ দিয়েছে, তদন্ত-গ্রেফতারি সব বন্ধ৷ (২) সংশ্লিষ্ট সংস্থা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বরাত পেয়েছে, বন্ডের মাধ্যমে বিজেপি অর্থ পেয়েছে৷ (৩) ৩৭টি ওষুধ কোম্পানি ও স্বাস্থ্য সংস্থা বন্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলকে ১০০০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে৷ বন্ধ হয়ে গেছে জাল ওষুধ থেকে নিম্নমানের ওষুধের বিনিময়ে কেন্দ্রীয় সরকারি এজেন্সির তদন্ত৷ অধিকার পাওয়া গেছে যথেচ্ছ দাম বাড়িয়ে অস্বাভাবিক উচ্চমূল্যে ওষুধ বিক্রির৷ (৪) সমাজমাধ্যমে বহুল প্রচারিত তথ্য, পুলওয়ামা হামলার পরেই পাকিস্তানের হাবপাওয়ার কোম্পানি নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে এদেশের রাজনৈতিক দলকে অনুদান দিয়েছে— এ তথ্য সত্য হলে তা ভয়ঙ্কর৷ মনে রাখা দরকার, জম্মু ও কাশ্মীরের তৎকালীন রাজ্যপাল এবং বিজেপি নেতা সত্যপাল মালিক পুলওয়ামা কাণ্ড নিয়ে যে বিস্ফোরক তথা বলেছেন, তাতে পুলওয়ামার ঘটনা সম্পর্কে অনেক সন্দেহ মানুষের মনে দানা বেঁধেছে৷ ‘নির্বাচনী বন্ড’ যে ‘পাইয়ে দেওয়ার মার্কেটিং’কে কাজে লাগিয়ে রাষ্ট্রীয় তোলাবাজি এবং সম্ভবত স্বাধীনতার পরে সব থেকে বড় সরকারি দুর্নীতি তা স্পষ্ট, কৃতিত্ব ১০০% বিজেপির৷ ঐতিহাসিক এই রায়ের জন্য সুপ্রিম কোর্টকে অভিনন্দন৷ অসরকারি সংস্থা এডিআর, কমন কজ এবং সিপিআইএম (যে দল নির্বাচনী বন্ডে এক নয়া পয়সাও কর্পোরেট অনুদান নেয়নি) ২০১৮ সালে ‘নির্বাচনী বন্ড’ প্রকল্প চালু হওয়ার পরেই এই প্রকল্প বাতিলের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে৷ অভিযোগের গুরুত্ব বুঝে, দীর্ঘসূত্রিতার প্রচলিত প্রথার বাইরে এসে, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সে সময়ে এই ঐতিহাসিক রায় বলে, এতগুলো বছর ধরে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র সরকার এই দুর্নীতি চালিয়ে যেতে পারত না৷ এই ঘুষের টাকাতেই তো রাজ্যে রাজ্যে বিধায়ক কিনে, জনমতের দ্বারা গঠিত নির্বাচিত সরকার ফেলে বিজেপি সরকার হয়েছে, ‘গণতন্ত্র’ হাসির খোরাকে পরিণত হয়েছে৷ নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হয়েছে৷

নির্বাচনী বন্ড দুর্নীতি সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে৷ নির্বাচনী ট্রাস্ট এবং প্রুডেন্ট নির্বাচনী ট্রাস্টে গত ১০ বছর যে বিপুল অর্থাঙ্কের কর্পোরেট অনুদান এসেছে তার সিংহভাগ বিজেপি পেয়েছে৷ কোন সরকারি প্রতিদানের বিনিময়ে এই দুই ট্রাস্ট থেকে বিজেপি বিপুল অর্থাঙ্কের অনুদান অর্জন করেছে তার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ্যে এলে সেটা আরও এক কেলেঙ্কারি হতেই পারে৷ নির্বাচনী বন্ডে বিজেপি পেয়েছে ৮,২৫১ কোটি টাকা, মোদিজির মুখ বসানো বিতর্কিত তহবিল পিএম কেয়ার্সে ২৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি অনুদান নিয়ে কী হয়েছে তা প্রকাশ্যে এলে সেটি এক মহা কেলেঙ্কারি হিসাবে প্রতিষ্ঠা পাবে৷ ২০২০ সালের ২৪ মার্চ মধ্যরাত থেকে সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করে মোদি সরকার৷ স্বাধীনতা-পূর্ব এবং স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে কোন সরকার এমন ভয়ঙ্কর জনবিরোধী দায়িত্বজ্ঞানহীন পদক্ষেপ নেয়নি৷ এত বড় ঘোষণার আগে কোনওরকম পূর্ব প্রস্ত্ততি, আগাম জানানোর পদক্ষেপ নেয়নি সরকার৷ লাখ লাখ পরিযায়ী শ্রমিক হাজার হাজার কিমি পথ পায়ে হেঁটে, আক্ষরিক অর্থে নরক যন্ত্রণা ভোগ করে নিজেদের গ্রাম/শহরে ফিরতে বাধ্য হয়েছিলেন অসহায়ভাবে৷ বিভিন্ন কারণে ভিন রাজ্যে অবস্থানরত মানুষজন চূড়ান্ত অসহায় এবং অনিশ্চয়তায় পড়লেন, লাখো মানুষের কাজ চলে গেল৷ একদিকে কোভিড সংক্রমণের ভীতি, সমাজে কোভিডজনিত অস্পৃশ্যতা, নিতান্ত অপ্রতুল সরকারি চিকিৎসা পরিকাঠামো, কাজ হারিয়ে উপার্জন বন্ধ, অনাহার, বাসস্থান থেকে বিতাড়িত হয়ে ফুটপাথে এসে দাঁড়ানো, বাড়ি ফেরার কোনও ব্যবস্থা নেই— সব মিলিয়ে এক অভূতপূর্ব অসহায় অনিশ্চয়তা ও ভীতি৷ দুর্গত মানুষজনের পাশে নেই সরকার৷


এই অবস্থার দু’দিনের মধ্যে ‘পিএম কেয়ার্স’ তহবিলের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ পিএম কেয়ার্স ট্রাস্ট গঠিত হল৷ ঠিকানা সাউথ ব্লক, প্রধানমন্ত্রীর দফতর৷ এই ট্রাস্টের চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ অন্য সদস্যরা হলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সাহ ও অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ৷ এই তহবিলে জাতীয় পতাকা, অশোক স্তম্ভ, প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ নাম ব্যবহূত হয়েছে৷ স্বাভাবিকভাবে সকলে এটিকে সরকারি তহবিল হিসাবেই জেনে এসেছেন৷ কোভিড মহামারির সময়ে চিকিৎসা এবং অন্যান্য সহযোগিতার জন্য এই তহবিলে অর্থ দেওয়ার আবেদন জানান প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং৷ মানুষ মহামারি আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে অভূতপূর্বভাবে সাড়া দিলেন৷ ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পিএম কেয়ার্সে ২৩,২০৭.৭ কোটি টাকা (তথ্যসূত্র : পিএম কেয়ার্স ওয়েবসাইট)৷ সেই সময়েই প্রশ্ন উঠেছিল, বহুকালের সরকারি তহবিল ‘প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল’ তো ছিলই, কোভিড সংক্রান্ত সহায়তার প্রয়োজনে এই তহবিলে অর্থদানের আহ্বান তো জানাতেই পারতেন প্রধানমন্ত্রী, আবার একটা নতুন সরকারি তহবিল পিএম কেয়ার্স কেন? অনেকে ভাবলেন, শুধুমাত্র কোভিড মহামারির প্রয়োজনে একটি পৃথক তহবিল গড়েছে সরকার৷ ১২১টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা পিএম কেয়ার্সে ২০২১-২২ অর্থবর্ষ পর্যন্ত ২৯১৩.৬ কোটি টাকা দিয়েছে কর্মীদের বেতন থেকে বাধ্যতামূলকভাবে কেটে নেওয়া অর্থ এবং সংস্থাগুলির নিজস্ব তহবিল ও জনকল্যাণ তহবিলের অর্থ থেকে৷ লোকসভা ও রাজ্যসভা সচিবালয়সহ সমস্ত কেন্দ্রীয় সরকারি দফতর ও রাষ্টায়ত্ত সংস্থার কর্মীদের সরকার বাধ্য করেছে এই তহবিলে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা দিতে যা তাদের বেতন থেকে কেটে নেওয়া হয়েছে৷ রুগ্ন, বিক্রির তালিকায় থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকেও বাধ্য করা হয়েছে এই তহবিলে অর্থ দিতে৷ অর্থদানের অঙ্ক সরকারের ঠিক করে দেওয়া, নির্দিষ্ট নির্ধারিত অঙ্কে অর্থদান বাধ্যতামূলক— বিষয়টি অনেক সরকারি কর্মীর মনপছন্দ না হলেও, একটা মহৎ উদ্দেশ্যে সরকারি তহবিলে দান, তাই সেভাবে কোনও প্রতিবাদ করেননি কর্মীরা৷ কিন্ত্ত আরটিআই করে পিএম কেয়ার্স সম্পর্কে তথ্য প্রার্থনা করতেই সামনে এল এটি একটি পুরোদস্ত্তর সরকারি প্রতারণা৷

আরটিআইয়ের উত্তরে সরকার জানায়, পিএম কেয়ার্স একটি বেসরকারি তহবিল, তাই পিএম কেয়ার্সের হিসেব দেওয়া হবে না৷ আদালতেও একই কথা জানায় প্রাইম মিনিস্টার্স অফিস (পিএমও)৷ ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়েই পড়ল৷ স্পষ্ট হয়ে গেল, যে কারণে নির্বাচনী ট্রাস্ট, প্রুডেন্ট নির্বাচনী ট্রাস্ট থাকার পরেও মোদি সরকার নতুন নির্বাচনী বন্ড প্রকল্প চালু করে, একই কারণে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থাকা সত্ত্বেও সরকারি তহবিলের মিথ্যা পরিচয়ে পিএম কেয়ার্স তৈরি৷ দুটি ক্ষেত্রেই সব কিছু গোপন করার মরিয়া প্রয়াস৷ পূর্বতন সরকারের আমলে তৈরি নির্বাচনী ট্রাস্ট, প্রুডেন্ট নির্বাচনী ট্রাস্ট, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল সিএজি অডিট এবং আরটিআই অ্যাক্টের আওতায়৷ এগুলির সমস্ত তথ্য প্রকাশের যোগ্য, যে কোনও নাগরিক যে কোনও তথ্য পেতে পারেন, ফলে স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত৷ এই স্বচ্ছতা এবং দুর্নীতির সুযোগ না থাকাতেই বিজেপি দল ও সরকারের তীব্র আপত্তি৷ নির্বাচনী বন্ড এবং পিএম কেয়ার্স সিএজি অডিট ও আরটিআই অ্যাক্টের আওতার বাইরে, মানুষ কোনও তথ্য, হিসেব পাবেন না, সবটাই গোপন৷ জনকল্যাণই যদি পিএম কেয়ার্সের লক্ষ্য হয়ে থাকে, তাহলে তার হিসেব দিতে কেন এত আপত্তি?

সুনির্দিষ্টভাবে বলছি, সরকারি দফতরের (এক্ষেত্রে পিএমও) ঠিকানা দিয়ে, সরকারি লোগো, জাতীয় পতাকা এবং প্রধানমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে কোনও বেসরকারি সংস্থা প্রতিষ্ঠা এবং তা চালিয়ে যাওয়া শুধু আপত্তিকর ও নিন্দনীয় নয়, সম্পূর্ণ বেআইনি এবং অসাংবিধানিক৷ সরকারি সংস্থার ওপর মানুষের আস্থা বিশ্বাসকে মূলধন করে বেসরকারি সংস্থাকে সরকারি সংস্থা হিসাবে মানুষের কাছে প্রতিভাত করানো অপরাধ এবং রাষ্ট্র কর্তৃক মানুষকে প্রতারণা৷ অবিলম্বে ‘পিএম কেয়ার্স’ অবৈধ বলে ঘোষণা করে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি৷ কোনও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্মী ও সরকারি কর্মীকে কোনও বেসরকারি সংস্থানে অর্থদানে (পিএম কেয়ার্সে যা হয়েছে) বাধ্য করতে পারে না সরকার— এ কাজ সম্পূর্ণ বেআইনি৷ ২০২০ সালের ২৭ মার্চ থেকে ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পিএম কেয়ার্সে ২৩,২০৭.৭ কোটি টাকা জমা পড়েছে৷ তিন দফায় মোট খরচ হয়েছে ৯৭৪১.৫ কোটি টাকা (তথ্যসূত্র : পিএম কেয়ার্স ওয়েবসাইট)৷ এই ব্যয়িত অর্থে কেনা ভেন্টিলেটরগুলির বেশিরভাগ অকেজো, বহুক্ষেত্রে প্রশিক্ষিত কর্মীর অভাবে তা চালানো যায়নি৷ এই খবর সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে৷ অন্যান্য ক্রয় সম্পর্কে কেউ কিছু জানে না৷ এই তহবিলে এ পর্যন্ত কত টাকা জমা পড়েছে, কোন খাতে কত টাকা খরচ হয়েছে, খরচের সপক্ষে কোনও ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট পাওয়া গেছে কিনা— এরকম আরও অসংখ্য তথ্য সম্পূর্ণ গোপন, কেউ জানে না৷ সরকারের বক্তব্য, কোনও তথ্য প্রকাশ করা হবে না, গোটা প্রক্রিয়া এতটাই অস্বচ্ছ ও গোপন, ব্যাপক দুর্নীতির সম্ভাবনা প্রবল৷ তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেওয়া হয় যে পূর্বোক্ত ৯৭৪১.৫ কোটি টাকা খরচে কোনও অনিয়ম, দুর্নীতি হয়নি, তাহলেও প্রশ্ন জাগে বাকি ১৩,৪৬৬.২ কোটি টাকা কোথায় গেল? পিএম কেয়ারে চিনের সংস্থা হাওয়াই ৭ কোটি, টিকটক ৩০ কোটি, পেটিএম ১০০ কোটি, শাওমি ১৫ কোটি, ওপ্পো ১ কোটি টাকা (তথ্যসূত্র : প্রখ্যাত আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা মনু সিংভির বক্তব্য) দিয়েছে৷ নির্বাচনী বন্ডে পাকিস্তানের সংস্থা ভারতের রাজনৈতিক দলকে চাঁদা দিচ্ছে, পিএম কেয়ারে চিনা সংস্থা দান করছে— পাকিস্তান ও চিনের সঙ্গে ভারতের বর্তমান তিক্ত সম্পর্কের নিরিখে বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা প্রয়োজন৷ সব মিলিয়ে পিএম কেয়ার্স নির্বাচনী বন্ডের থেকেই বড় কেলেঙ্কারি— আন্না হাজারেরা কুম্ভকর্ণের নিদ্রায়, কারণ অভিযুক্ত বিজেপি৷