দলের টিকিট পেলেই ফাইভ স্টার হােটেলে গিয়ে থাকছেন কংগ্রেস নেতা ও প্রার্থীরা। এসি গাড়ি ছাড়া বাইরে বের হন না তাঁরা। নিচু স্তরের নেতাদের এভাবে জনবিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলই কংগ্রেস নির্বাচনে ভােগ করছেন বলে সরব হয়েছেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা গুলাম নবি আজাদ।
বিহার ভােটে কংগ্রেসের বিপর্যয়ের পরে প্রথম সরব হয়েছিলেন দলের আরেক নেতা কপিল সিব্বল। এবার সেই পথে হাঁটলেন গুলাম নবিও। তবে এই প্রথমনয়, কয়েক মাস আগেও দলের নেতৃত্বে বদল চেয়ে সরব হয়েছিলেন সিব্বল-আজাদরা। এবার অবশ্য নেতৃত্বকে দোষ না দিয়ে নিচু তলার নেতাদেরই কাঠগড়ায় তুলেছেন আজাদ।
সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, আমাদের সমস্য হল, টিকিট পেলেই প্রথমে তারা কোনাে ফাইভ স্টার হােটেলে ঘর বুক করেন। সেখানেও সবচেয়ে বিলাসবহুল ব্যবস্থা খোঁজেন তারা । এরপর এসি গাড়ি না পেলে তারা বাইরে যান না। যে এলাকায় ভাঙাচোড়া রাস্তা, সেখানেও যেতে চান না তারা।
হতাশ কংগ্রেস নেতা বলেছেন, পাঁচ তারা হােটেলে বসে নির্বাচনে জেতা যায় না। এই সংস্কৃতি বদল করতে না পারলে আমাদের ভালাে ফল করা মুশকিল।
সাম্প্রতিক নির্বাচনে খারাপ ফলের জন্য অনেকেই কংগ্রেস নেতৃত্বকে দোষারােপ করছেন। গুলাম নবি আজাদ অবশ্য সেই পথে হাঁটেননি রং স্থানীয় স্তরের নেতা এবং নিচু স্তরের পদাধিকারীদেরই দায়ী করেছেন তিনি।
আজাদ বলেছেন, ব্লক বা জেলা স্তরের নেতারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। যেই তারা কোনও পদ পান, সঙ্গে সঙ্গে লেটারপ্যাড আর ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে নেন তারা। এটুকু করেই তারা ভাবেন তাদের কাজ শেষ। কিন্তু আসলে এখান থেকেই কাজ শুরু করতে হয়।
শীর্ষ নেতৃত্বের যে সমস্যা নেই তা বােঝাতে আজাদ মনে করিয়ে দিয়েছেন, সােনিয়া গান্ধির নেতৃত্বেই চার থেকে পাঁচ বছরের ব্যবধানে পাঁচটি রাজ্য জিতেছিল কংগ্রেস। সে সময় তিনিই নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন বলেও মনে করিয়ে দেন বর্ষীয়ান এই নেতা।