আরজি কর দুর্নীতির ‘কালো’ টাকা সরাতে দশটি ভুয়ো সংস্থা নির্মাণ করা হয়েছিল বলে ইডি সূত্রে দাবি করা হয়েছে। আরজিকর দুর্নীতিতে শেল কোম্পানির হদিশ পেয়েছে ইডি। বিভিন্ন ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে এই শেল কোম্পানি খোলা হয়েছে। আর সেই সমস্ত ভুয়ো কোম্পানির মাধ্যমে সরানো হয়েছে দুর্নীতির ‘কালো’ টাকা। এমনটাই দাবি ইডি সূত্রের। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই।একই মামলার তদন্তে রয়েছে ইডিও। দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। সন্দীপ ঘোষ সহ ওই চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। তখনই তদন্তে উঠে আসে একাধিক ‘শেল’ কোম্পানির নাম।
প্রাথমিক পর্যায়ে এখনো পর্যন্ত ৮-১০ টি ভূয়ো সংস্থার হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। সন্দীপ ঘোষ তাঁর নিকটতম আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠদের নামে এই সংস্থাগুলি খুলেছিলেন। এই সমস্ত সংস্কার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেই দুর্নীতির টাকা অন্যত্র সরানো হয়েছে দাবি ইডি সূত্রের। তদন্তে সংস্থাগুলোর একাধিক ডিরেক্টরের নামও পেয়েছে ইডির আধিকারিকেরা।
প্রসঙ্গত, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দুর্নীতির মামলায় তদন্তি নেমেছি ইডি এবং সিবিআই। সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ একের পর এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে চালানো হয়েছে তল্লাশি অভিযান। ইতিমধ্যেই ভেন্ডার সুমন হাজরা এবং বিপ্লব সিংহকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে আদালতে ইতিমধ্যেই জানিয়েছে সিবিআই। এই পরিস্থিতিতেই সল্টলেকের এক ব্যবসায়িক বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডির আধিকারিকেরা।