বহু চর্চিত নারদা মামলায় ব্যাংকশাল আদালতে বিশেষ এজলাসে চার্জশিট দাখিল করল ইডি। এই চার্জশিটে নাম রয়েছে চার হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী সহ এক প্রাক্তন আইপিএসের। রাজ্যের দুই মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি, ফিরহাদ হাকিম, তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র, প্রাক্তন মন্ত্রী শােভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের।
সেইসাথে দাখিল চার্জশিটে নাম রয়েছে অবিভক্ত বর্ধমানের পুলিশ সুপার সৈয়দ হুসেন আলি মির্জার। ইতিমধ্যেই চার নেতা মন্ত্রীদের সমন পাঠানাে হয়েছে বিধানসভার স্পিকারের মাধ্যমে। জনপ্রতিনিধিদের সরাসরি না পাঠিয়ে বিধানসভার স্পিকারের মাধ্যমে ইডি সমনটি পাঠিয়েছে।
যদিও বিধানসভার স্পিকার ইডির এই প্রেরিত সমন এখনও হাতে পাননি বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ইডির সমন বিধানসভার স্পিকার পেয়েছেন কিনা, তা ইডিকে জানাতে হবে। তা না হলে বিষয়টি আদালতে জানানাে হতে পারে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ মে হঠাৎ নারদা মামলায় সিবিআই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে গিয়ে রাজ্যের দুই মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি ও ফিরহাদ হাকিম, প্রাক্তন মন্ত্রী শােভনদেব চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রকে গ্রেফতার করে থাকে। এই গ্রেফতারি ঘিরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিবিআইয়ের নিজাম প্যালেসের অফিসে টানা ৫ ঘণ্টা অবস্থান করে থাকেন।
মুখ্যমন্ত্রীর এই অবস্থান নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই নারদা মামলা অন্য রাজ্যে স্থানান্তরিত করা এবং জেল হেফাজতে রাখার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। যদিও গ্রেফতারির দিনেই ব্যাংকশাল আদালতে শর্তাবলি রেখে জামিন দেয়।
তবে ওইদিন সন্ধেবেলাতেই কলকাতা হাইকোর্ট এই জামিন বাতিল করে জেল হেফাজতে পাঠিয়ে দেয় চার নেতা মন্ত্রীদেরকে। তবে গত ২৫ মে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তবে অন্য রাজ্যে স্থানান্তরিত করা নিয়ে কোনও নির্দেশ দেয়নি কলকাতা হাইকোর্ট।
ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে নারদা মামলায় আরেক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি চার্জশিট দাখিল করল ব্যাংকশাল আদালতে। আর এই চার্জশিট দাখিল অবগত করার জন্য সমন পাঠানাে হয়েছে বিধানসভার স্পিকারের মাধ্যমে। যা আগামী ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ইডির এই সমনের প্রাপ্তি নিয়ে অবস্থান জানাতে হবে বিধানসভার স্পিকারকে।
পাশাপাশি প্রাক্তন আইপিএস সৈয়দ হুসেন আলি মির্জাকেও সমন পাঠিয়েছে ইডি। পুরাতন মামলা নারদায় ইডির এহেন সক্রিয়তাকে ভালাে চোখে দেখছে না বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।