আরজিকর হামলার নেপথ্যে ডিওয়াইএফআই! পুলিশি তলব মীনাক্ষীসহ সাতজনকে

আরজিকর হাসপাতাল ভাঙচুর মামলায় এবার পুলিশি জেরার মুখে ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়সহ সাতজনকে সমন পাঠানো হয়েছে লালবাজারের তরফ থেকে।

উল্লেখ্য, বুধবার রাতে মহিলাদের ‘রাত দখল’ কর্মসূচিকে ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে আরজিকর হাসপাতাল চত্বর। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ঢোকা হয় হাসপাতালে। শুধু তাই নয়, হামলা চালানো হয় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের ওপরও। তাতে আহত হন ডিসি (নর্থ) অভিষেক গুপ্ত এবং মানিকতলা থানার ওসি দেবাশিস দত্ত। এবার সেই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত হামলাকারীদের পরিচয় জানতেই তলব করা হল মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়সহ সাত জনকে। সূত্রের খবর, সেই রাতে যারা হামলা চালিয়েছিল, তাদের মধ্যে কেউ ডিওয়াইএফআই এর সঙ্গে যুক্ত কিনা, তা জানার চেষ্টা করবে কলকাতা পুলিশ।

প্রসঙ্গত, আরজিকর হাসপাতালের মূল প্রবেশ দ্বারের বাইরেই রয়েছে ডিওয়াইএফআই এর মঞ্চ। বুধবার রাতে হাসপাতালে হামলা চালানোর সময় পেছনে কিছুজনকে ডিওয়াইএফআই-এর পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ঠিক কী কারণে তারা হামলাকারীদের সঙ্গে ছিলেন, তা জানতে চাওয়া হবে বলেই খবর লালবাজার সূত্রে। অন্যদিকে আরজিকর হামলার সঙ্গে রাজ্যের বিরোধীদল বিজেপি এবং সিপিএম যোগ দেখছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “লজ্জা করে না বিজেপি এবং সিপিএম! অমানবিক ঘটনা নিয়ে দানবিকতা করছেন, তাণ্ডব করছেন। আর জি করে প্রমাণ লোপাট করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ভুলক্রমে ফ্লোরটা বদলে গিয়েছিল। থার্ড ফ্লোর বদলে, সেকেন্ড ফ্লোরে চলে গিয়েছিলেন। আর জি করে সিপিএম-বিজেপি ভাঙচুর করেছে। নাটকেও যখন শেষ হয়নি, রাত ১২টার পর ডিওয়াইএফআই-এর পতাকা নিয়ে যাওয়া হয় এবং বিজেপি জাতীয় পতাকার অপব্যবহার করে।”


প্রসঙ্গত, শনিবার রাত পর্যন্ত আরজিকর হাসপাতালে হামলার ঘটনায় পুলিশের গ্রেফতার হয়েছে ৩০ জন। সূত্রের খবর, তাদের মধ্যে অনেকেই আবেগের বশে হামলা চালিয়েছেন বলেই জানিয়েছে পুলিশকে। অন্যদিকে, শুক্রবার লালবাজারে সাংবাদিক সম্মেলন করেন কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল। আরজিকর হাসপাতালের উপর হামলার দুটি ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে তিনি বলেন, “সকলের কাছে অনুরোধ করবো, যদিও কেউ হামলাকারীদের চেনেন তাহলে পুলিশকে সাহায্য করুন। আমরা দলমত নির্বিশেষে তাদের গ্রেফতার করবো”। তবে হামলার খবর পুলিশের কাছে আগাম ছিল না বলে, নিজেদের ব্যর্থতা কার্যত স্বীকার করে নেন নগরপাল বিনীত গোয়েল।