• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

মন খারাপের গভীর সাগরে হারিয়ে যাচ্ছেন দিলীপ!

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: একসময়ের  বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের  হাত ধরেই বাংলা দেখেছে গেরুয়া উত্থান। যদিও সেই পদে রদবদলের পর  পরিচিতি ছিল সাংসদ হিসাবে। কিন্তু, এবারের লোকসভা ভোটের পর সেই সাংসদ তকমাটাও হারিয়েছেন। মেদিনীপুর থেকে বর্ধমান-দুর্গাপুরে গিয়ে দেখতে হয়েছে হারের মুখ।  বঙ্গ বিজেপির অন্দরে যে নামটাই এক সময় কার্যত ‘শেষ কথা’ ছিল, তিনিই এখন

Kolkata: West Bengal BJP President Dilip Ghosh addresses a press conference, in Kolkata on Nov 20, 2020. (Photo: IANS)

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: একসময়ের  বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের  হাত ধরেই বাংলা দেখেছে গেরুয়া উত্থান। যদিও সেই পদে রদবদলের পর  পরিচিতি ছিল সাংসদ হিসাবে। কিন্তু, এবারের লোকসভা ভোটের পর সেই সাংসদ তকমাটাও হারিয়েছেন। মেদিনীপুর থেকে বর্ধমান-দুর্গাপুরে গিয়ে দেখতে হয়েছে হারের মুখ।  বঙ্গ বিজেপির অন্দরে যে নামটাই এক সময় কার্যত ‘শেষ কথা’ ছিল, তিনিই এখন কোথাও যেন ‘কোণঠাসা’। তাঁর পরবর্তী দায়িত্ব সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কোনও কথা বলেনি রাজ্য বা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এটাই বলছেন অভিমানী দিলীপ। তিনি  স্পষ্টই বললেন, “পার্টি থেকে তো কেউ খোঁজই নেয় না। কী পরিচয় বোঝা যাচ্ছে না। সব কার্যকর্তা আমাকে জিজ্ঞেস করছে কী করব, আমি বলতে পারছি না।”

মনে যে অভিমানের পাহাড় তৈরি হয়ে বসে আছে, তা বোঝা গেল দিলীপের ফোনালাপের ছত্রে ছত্রে। ক্ষোভ যে আছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দলীয় নেতৃত্বের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন করতেই খানিক মন খারাপের সুরেই দিলীপ বললেন, “কেউ দেখা করে না, কেউ কথা শোনে না। কারও কাছে সময় নেই কথা বলার। নিজেরা দেখা করবেন না, আমি দেখা করলেও কষ্ট, নেতৃত্বের সমস্যা! কী আর করা যাবে! কর্মীদের কাছে তো আমি নিজেই যাচ্ছি।” তাহলে কী নতুন কিছু ভাবছেন পদ্ম শিবিরের দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই নেতা? যদিও এ প্রশ্নের সোজাসুজি উত্তর না দিয়ে দিলীপ বললেন, “দেখা যাক পার্টি কী করছে, কী ভাবছে।”

এবিষয়ে  তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অরূপ চক্রবর্তী বলছেন, “বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, পরের ছেলে পরমানন্দ, যত উচ্ছন্নে যায় ততই আনন্দ। বিজেপির অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আমাদের বিশেষ কিছু বলার নেই। তবে দিলীপ ঘোষ একজন লড়াকু নেতা। তাঁর নেতৃত্বেই ৭৭ বিধায়কের দল হয়েছিল বিজেপি। ২ সাংসদ থেকে ১৮ সাংসদ হয়েছিল বাংলায়। সেই দিলীপ ঘোষকেই এখন জেতা সিট থেকে সরিয়ে অন্য জায়গায় পাঠিয়ে দিয়েছিল। এটা পুরোটাই ওদের দলীয় কোন্দল। আর তাঁর জন্য যদি কেউ দায়ী হয়ে থাকে সেটা শুভেন্দু অধিকারী। ও যতদিন সংগঠনের দায়িত্বে থাকবেন, ততদিন দিলীপ ঘোষের মতো মানুষেরা সংগঠন থেকে আরও দূরে চলে যাবে।”