নিজস্ব প্রতিনিধি, ১২ জুন– রাজধানী দিল্লির ৮ নম্বর নর্থ অ্যাভিনিউ-এর সাংসদ বাংলো থেকে শেষবারের মতো বেরিয়ে গেলেন দিলীপ ঘোষ। বাংলো ছাড়ার জন্য যাবতীয় কাগজপত্র সই করে দিয়ে কলকাতা ফিরে গেলেন প্রাক্তন সাংসদ। ৭ দিনের মধ্যে বাংলো থেকে নিজের বাকি জিনিসপত্রও বের করে নেবেন তিনি। ২০১৯ সালে নর্থ অ্যাভিনিউতে হাতে গোনা কয়েকটি ডুপ্লেক্স বাংলো তৈরি হয়েছিল সিনিয়র সাংসদদের জন্য।স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছিলেন অত্যাধুনিক পরিষেবা সম্পন্ন এই বাংলোগুলির। প্রথমবার সংসদ হওয়া সত্ত্বেও এই বাংলো পেয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। রাজ্য সভাপতি হওয়ার কারণেই প্রথমবারের সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও সেই সময় তাঁকে এই বাংলো দেওয়া হয়। সেই বাংলোকে এবার বিদায় জানালেন দিলীপ ঘোষ।প্রসঙ্গত, মেদিনীপুরের বদলে এবার বর্ধমান-দুর্গাপুর থেকে দিলীপ ঘোষকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে দিলীপ ঘোষকে হারিয়ে জয়ী হন তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী তিরাশির বিশ্বকাপ তারকা কীর্তি আজাদকে। আর লোকসভায় হারের পরই নিজের দলের একাংশকে দুষে বিস্ফোরক মন্তব্যও করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “লোকে হারা আসন জেতার জন্য প্ল্যানিং করে। এখন জেতা আসন হারাবার জন্য প্ল্যানিং হয়েছে। মেদিনীপুরে লড়তে দেওয়া হয়নি, রেজাল্ট দেখা গিয়েছে। এত সাংসদ বিধায়ক ছিল, তাহলে ভোট কমল কেন?”
দেবশ্রী চৌধুরীর আসন বদল নিয়েও নিশানা করেন দিলীপ ঘোষ। “দেবশ্রী ওখানে জিতত না? এর পিছনে কী আছে? এসব কেন করা হয়েছে? এগুলো ভাবতে হবে। পার্টির প্রতিষ্ঠিত নেতাদের হারানোর জন্য পাঠানো হয়েছিল?” রাজনৈতিক মহলের মতে নাম না করে সুকান্ত মজুমদারকেই কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ।মেদিনীপুরে লড়তে দেওয়া হয়নি বিজেপি নেতাকে। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমি আমার লোকসভায় (মেদিনীপুরে) সময় দিয়েছি। তারপর কিছুদিন অন্য একটি রাজ্যে (আন্দামান) সময় দিয়েছি। গত এক বছর ধরে সম্পূর্ণ সময় মেদিনীপুরে দিয়েছিলাম। টাকা- পয়সা, সময় সব দিয়েছি। আমাকে লড়তে দেওয়া হয়নি। তার রেজাল্ট সবাই দেখে নিয়েছে। কী সব যুক্তি দেওয়া হয়েছিল! আমি নাকি মেদিনীপুরে দাঁড়ালে হেরে যাব। কারণ ওখানে নাকি কুড়মিরা আমাদের বিরুদ্ধে। যেখানে কুড়মি ভোট বেশি, সেই পুরুলিয়া আসনে বিজেপি জিতেছে। আমার বিরুদ্ধে কুড়মিদের ক্ষেপানো হয়েছিল। আমাকে সরানোর জন্য এটা করা হয়েছিল।”