• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

তিন মাস ধরে রেশন পাননি, পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ

সীতারাম মুখোপাধ্যায়, আসানসোল, ১৪ জুন– তিন মাস ধরে রেশন পাইনি, এই অভিযোগে এবার গ্রীষ্মের প্রচন্ড দাবদাহকে উপেক্ষা করে পেটের টানে রেশনের জোগাড়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল বেশ কিছু গ্রামবাসী। ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায়, আসানসোল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত নিঘা এলাকার মানুষ, দীর্ঘ তিন মাস ধরে রেশন না পেয়ে, শুক্রবার তাঁরা রাস্তা অবরোধ

সীতারাম মুখোপাধ্যায়, আসানসোল, ১৪ জুন– তিন মাস ধরে রেশন পাইনি, এই অভিযোগে এবার গ্রীষ্মের প্রচন্ড দাবদাহকে উপেক্ষা করে পেটের টানে রেশনের জোগাড়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল বেশ কিছু গ্রামবাসী। ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায়, আসানসোল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত নিঘা এলাকার মানুষ, দীর্ঘ তিন মাস ধরে রেশন না পেয়ে, শুক্রবার তাঁরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখতে শুরু করেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত তিন মাস ধরে রেশন না পেলেও তাঁদের স্লিপ কেটে নেওয়া হচ্ছে। ৫ মাস আগেও তাঁদের সঙ্গে যা হয়েছে। তা নিয়ে এলাকাবাসীরা বিক্ষোভ করে। শুক্রবার নীঘায় বিক্ষোভের সময় মানুষের মধ্যে প্রচুর ক্ষোভ লক্ষ্য করা যায়।

তাঁরা এদিন রাস্তায় ছাতা মাথায়, সাইকেল, মোটরসাইকেল রেখে দিয়ে বিক্ষোভে অনড় থাকেন। সকাল ৭টা থেকে চলা এই বিক্ষোভ চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে খাদ্য পরিদর্শক ও স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা। এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত তিন মাস ধরে তাঁরা রেশন পাননি। প্রতি মাসে এলাকার মানুষ রেশনের জন্য লাইনে দাঁড়ালেও তা পান না তাঁরা। তাই এবার মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে কোনও মূল্যে তাঁরা রেশন নেবেন। সেজন্যই প্রচণ্ড গরমে মানুষ রেশনের জন্য সারিবদ্ধ হয়ে বসে থাকেন। পরে যখন তাঁরা জানতে পারেন যে, তাঁরা রেশন পাবেন না, তখন ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন। তাঁদের দাবি, নিঘা এলাকার মানুষের দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে কারোর মাথাব্যথা নেই। এদিন বিক্ষোভের এই ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রতিনিধি ভোলা পাসওয়ান।

তিনি বলেন, এই ওয়ার্ডে মানুষ রেশন না পেয়ে প্রতিনিয়তই নানান সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। কেন এমন রেশনের জন্য বারবার মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন, তা নিয়ে তিনি প্রশ্ন করে বসেন। এপ্রসঙ্গে কমিউনিস্ট পার্টির নোমান আশরাফ খান বলেন, রেশন দুর্নীতি পশ্চিমবঙ্গে নতুন কিছু নয়, যে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী কারাগারে, সেই দফতরের কর্মকর্তারা কীভাবে কাজ করবেন, তা সবাই জানে। তাঁর দল এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেও কোনও ফল হয়নি। মানুষ তাঁদের ন্যায্য রেশন পাওয়ার জন্য আকুল। তাঁর দাবি, এখানে পুলিশ প্রশাসনের মধ্যস্থতায়, সমস্ত রেশন ডিলারদের সাথে একটি মিটিং করতে হবে ও রেশন ডিলারদের বলতে হবে যে, তাঁদের সঠিক সময়ে রেশন দিতে। নয়তো কড়া হাতে শাস্তি দিতে হবে তাঁদের।

এদিনের বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে খাদ্য পরিদর্শক বলেন, রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে মৌখিকভাবে অভিযোগ পাওয়া গেছে, আগামীতে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই মাসে ৪০ কুইন্টাল রেশন আনুষ্ঠানিকভাবে রেশন ডিলারকে দেওয়ার কথা ছিল, যা বকেয়া। সেই রেশন চিহ্নিত করে মানুষকে দেওয়া হবে। গত দুই মাসের বকেয়া পাওনা সম্পর্কে তিনি স্পষ্টভাবে জানান যে, তিনি নিজেকে একজন রেশন ডিলার ভাববেন। সরকারিভাবে কোনও বকেয়া নেই। গত দুই মাসের রেশন ডিলারকে দেওয়া হয়েছে। জনগণের রেশন সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান না হলে রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলেই জানান তিনি।