নিজস্ব প্রতিনিধি: হাওড়ার গড়চুমু্কে বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে এক হোটেল কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী৷ বুধবার সকালের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে৷ ওই কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার করতে আসলে, পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। শুরু হয় ইটবৃষ্টি৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ করে পুলিশ৷
হাওড়ার উলুবেড়িয়ার গড়চুমুক পর্যটন কেন্দ্রে অবস্থিত একটি হোটেলের ঘটনা৷ ওই হোটেলের উপর দিয়ে গিয়েছে উচ্চ পরিবাহী ১১ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিন তার৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে হোটেলের ওই কর্মী ছাদে কাপড় শুকোতে গিয়েছিলেন৷ ওই সময় কোনওভাবে তাঁর শরীর বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে চলে আসে৷ সঙ্গে সঙ্গে ঝলসে যায় হোটেল কর্মীর দেহ৷ তারেই ঝুলতে থাকে শরীর৷ এরপর দেহ উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শ্যামপুর থানার পুলিশ৷ ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা৷ পুলিশকে লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ করে পুলিশ৷ কীভাবে ওই এলাকায় হোটেল নির্মাণ হল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন৷
অভিযোগ, হাওড়ার গড়চুমুক পর্যটন কেন্দ্রের গেটের মুখেই ১১ হাজার ভোল্টের তারের উপর দিয়েই তৈরি হয়েছে ওই অবৈধ হোটেলটি৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে সেখানে ছোট একটা মিষ্টির দোকান ছিল৷ সেখানে কীভাবে প্রশাসন এত বড় রেস্টুরেন্টের অনুমতি দিল, সেটাই প্রশ্ন৷ স্থানীয়
এক যুবক বলেন, ‘বিল্ডিংটা কীভাবে তৈরি হল, তা নেতারাও জানেন, পুলিশও জানে৷’ প্রভাবশালীর হাত আছে বলে অভিযোগ করেন ওই যুবক৷ ঘটনার পর থেকে পলাতক হোটেলের মালিক৷