বিজেপি-কংগ্রেসকে একটা ভোটও নয়, দলিতদের বার্তা মায়াবতীর

হরিয়ানা এবং জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দাদের বহুজন সমাজ পার্টিকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানালেন দলের সুপ্রিমো মায়াবতী। তাঁর যুক্তি, কংগ্রেস এবং বিজেপি দলিত উন্নয়নের বদলে তাঁদের বঞ্চনা করে যাচ্ছে। মায়াবতীর আর্জি, এই ‘ঐতিহাসিক’ বঞ্চনার বিরুদ্ধে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে আপনারা ভোট দিন।

এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে মায়াবতী লিখেছেন, হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচনের সময় কংগ্রেসের ক্রমাগত দলিতদের প্রতি অবহেলা ও অবজ্ঞা প্রমাণ করে যে কংগ্রেসের মধ্যে সব কিছু ঠিক নেই। পরিস্থিতি যদি এখনই ঠিক না থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে কী আশা করা যেতে পারে? দলিতদের কংগ্রেস বা বিজেপিকে নিয়ে ভোট নষ্ট করা উচিত নয়।

কংগ্রেস ক্রমাগত সংরক্ষণের বিরোধিতা করছে বলে অভিযোগ করেন বহুজন সমাজ পার্টির সুপ্রিমো মায়াবতী। তিনি বলেন, দলিতদের সর্বসম্মতিক্রমে বিএসপিকে ভোট দেওয়া উচিত কারণ এটিই একমাত্র দল যা তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য, তাদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে এবং তাদের সাংবিধানিক অধিকার সুরক্ষিত করার জন্য ক্রমাগত লড়াই করে।


‘কংগ্রেস, বিজেপি বা অন্য কোনও জোটের মিথ্যা প্রতিশ্রুতির ফাঁদে দেবেন না’, ঠিক এভাবেই জম্মু ও কাশ্মীরের দলিত সম্প্রদায়কে সতর্ক করে দিয়েছেন বিএসপি সুপ্রিমো। তাঁর কথায়, দলিতদের উচিত তাদের ভোট বিএসপিকে দেওয়া কারণ একমাত্র বিএসপিই দলিতদের জন্য লড়ে চলেছে।

বিএসপি ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দলের (আইএনএলডি) সাথে জোট বেঁধে হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। ৯০ টি আসনের মধ্যে ৩৭টিতে প্রার্থী দিয়েছে মায়াবতীর দল। বর্তমানে, হরিয়ানা বিধানসভায় কোনও বিএসপি বিধায়ক নেই, অন্যদিকে আইএনএলডির অভয় চৌতালা দলের একমাত্র বিধায়ক।

এর আগে ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত হরিয়ানা বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন অভয় চৌতালা। বর্তমান বিধানসভায় আইএনএলডির একমাত্র প্রতিনিধিই তিনিই।

জুলাই মাসে লখনউতে মায়াবতী ও চৌতালার মধ্যে বৈঠকের পরে বিএসপি এবং আইএনএলডির মধ্যে জোট ঘোষণা করা হয়েছিল।

দুই দলই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও খুব একটা ভালো ফল করতে পারেনি। আইএনএলডি পেয়েছে ১.৭৪ শতাংশ ভোট এবং বিএসপি পেয়েছে ১.২৮ শতাংশ। হরিয়ানার ১০টি লোকসভা আসনের মধ্যে আইএনএলডি ৭টি আসনে এবং বিএসপি ৯টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।