সিএএ বাতিল সহ ১০০ দিনের কাজে মজুরি দ্বিগুণের প্রতিশ্রুতি সিপিএমের ইস্তাহারে

নিজস্ব প্রতিনিধি– নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং ইউএপিএ-র মতো কঠোর আইন বাতিলের প্রতিশ্রুতি মিলেছে সিপিএমের নির্বাচনী ইস্তাহারে৷ একইসঙ্গে সরকারি অর্থ তছরুপ দমন আইনও বাতিলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম শরিক এই বাম দলটি৷ এমনকী ১০০ দিনের কাজের শ্রমের মজুরি দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে৷ শহুরে কর্মসংস্থান এবং বেকার ভাতা চালুর জন্য আইন প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সিপিএম৷ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত নির্বাচনী ইস্তাহারে ৩৭০ ধারার অধীনে জম্মু-কাশ্মীরকে স্বশাসিত করার বিষয়কে সমর্থন জানিয়েছে সিপিএম৷ পূর্ণ রাজ্যে মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া এবং ক্ষমতায় এলে বিধানসভা নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে৷ রাষ্ট্রীয় খরচে নির্বাচন এবং শিল্পপতি-বাণিজ্যিক গোষ্ঠীর চাঁদা নিষিদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি রয়েছে ইস্তাহারে৷ ক্ষমতায় এলে রাজ্যপাল নিয়োগের পদ্ধতিতেও বদল আনা হবে৷ মুখ্যমন্ত্রীর মনোনীত তিনজন বিশিষ্ট ব্যক্তির প্যানেল রাজ্যপাল বাছাই করবে৷ ইস্তাহার প্রকাশের পর সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, ভারতীয় সাধারণতন্ত্র বর্তমানে অস্তিত্বরক্ষার সংকটে ভুগছে৷ বাংলায় ইন্ডিয়া জোটের কোনও অস্তিত্ব না থাকা সত্ত্বেও সিপিএম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষাতেই বলেছে, দেশের ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক এবং সাধারণতান্ত্রিক চরিত্রকে রক্ষা করতে হলে বিজেপি এবং তার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ক্ষমতায় ফিরে আসা যে কোনও মূল্যে রুখতে হবে৷

ইয়েচুরি বলেছেন, দেশের সাংবিধানিক সমস্ত কাঠামো আজকের দিনে বিপন্ন৷ যদি তা বাঁচিয়ে রাখতে হয়, তাহলে মোদীকে কোনওভাবেই ফের গদিতে বসতে দেওয়া যাবে না৷ ইস্তাহারে দল দেশের অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্ব রক্ষার ব্যাপারে অঙ্গীকার করেছে৷ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে বাঁচাতে না পারলে এ কাজ সম্ভব নয়৷ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণ রুখতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সিপিএম৷ অতি ধনীদের জন্য পৃথক কর কাঠামো চালুর জন্য আইন প্রণয়ন, চলতি শ্রম আইনে বদল এনে শ্রমিকস্বার্থ উপযোগী আইন আনবে সিপিএম৷ এর মধ্যে থাকবে কাজের অধিকারকে সাংবিধানিক অধিকার তৈরি, সরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রে শূন্যপদে নিয়োগ এবং এমএসএমই ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি রয়েছে সিপিএমের ইস্তাহারে৷

পাশাপাশি কৃষকদের নূ্যনতম সহায়ক মূল্য, শিক্ষার অধিকার, উচ্চশিক্ষায় বেসরকারিকরণ বন্ধ, জাতীয় গড় উৎপাদনের অন্তত ৬ শতাংশ শিক্ষাক্ষেত্রে বরাদ্দের প্রস্তাব দিয়েছে সিপিএম৷ এছাড়াও অবিলম্বে মহিলাদের জন্য এক-তৃতীয়াংশ সংরক্ষণ এবং নির্যাতিত মহিলাদের ন্যায়বিচার প্রক্রিয়াকে জোরদার করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে তারা৷