দিল্লি নির্বাচনে একটি আসনও পায়নি কংগ্রেস। কিন্তু খাতা খুলেও রাজনৈতিক অঙ্ক বদলে দিয়েছে এই রাজনৈতিক দল, মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এদিকে ভােটে জয়ের মুখ না দেখলেও ব্যর্থতার ছাপ নেই কংগ্রেস নেতাদের চোখে মুখে। বরং বিজেপি ধরাশায়ী হওয়ায় কার্যত খুশি তারা।
সিএএ লাগু হওয়ার পর দেশের অন্যান্য জায়গার মতাে বিক্ষোভের আঁচ পড়েছিল রাজধানী দিল্লিতেও। স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতিতে বিজেপি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির কাছে এই নির্বাচন ছিল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ভােটের ফলাফল অনুযায়ী বিপুল ভােটে ফের দিল্লিতে ফিরে আসছে আপ। তবে খাতা খুলতে পারেনি কংগ্রেস।
এদিকে ফল খারাপ হলেও বিজেপির। পরাজয়ে বড় অবদান রয়েছে কংগ্রেসের, মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাঁদের কথায়, বাল্লিমরন, ওখলার মতাে আসনে ভাল ফলাফল আশা করেছিল বিজেপি। কিন্তু এই কেন্দ্রগুলিতে ভােট কাটাকাটিতে কংগ্রেস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, মনে করছেন তারা।
এদিকে দিল্লিতে তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের বিকল্প খুঁজতে ব্যর্থ হওয়াই দলকে পরাজয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে বলে মনে করছেন রাজ্যসভার সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি। তিনি জানান, আগামী চার বছরে দলের উচিত শীলা দীক্ষিতের বিকল্প খুঁজে বার করা।
লােকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরি জানান, দিল্লিতে উন্নয়নমুখী দল জিততে চলেছে। তবে ভােটে কংগ্রেসের ফলাফল নিয়ে উচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান তিনি। যদিও সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য দিল্লির ফলাফল প্রসঙ্গে বলেন, ধর্মান্ধতার পরাজয় হয়েছে। আপের উত্থানে কংগ্রেসের কোনও ক্ষতি নেই বলেই জানান তিনি।