আত্মবিশ্বাসী রাজ

রাজ চক্রবর্তী (Photo: SNS)

নিজের জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী রাজ চক্রবর্তী। আর তাই বারাকপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসাবে নাম ঘােষণার পর পরিচালক রাজ চক্রবর্তী অকপটে জানান, বারাকপুর বিধনসভা কেন্দ্রে জিতে দিদিকে উপহার দেবেন। রাজ চত্রবর্তী একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, আমি খুবই উচ্ছ্বসিত।

আমি মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ যে উনি আমার নাম ভেবেছেন এবং আমাকে যােগ্য মনে করেছেন। আমি চেষ্টা করব, আমার যতটা ক্ষমতা সবটুকু দিয়ে মানুষের মন জয় করব। দিদির যা পরিকল্পনা সেই অনুযায়ী কাজ করব।

রাজ চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, এতদিন রুপালি পর্দার মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌছতেন, এখন সরাসরি পৌছতে হবে, তার এই বিষয়ে কি মনে হচ্ছে? প্রশ্নের উত্তরে রাজ জানান, ‘রূপালি পর্দা নয়, আমায় সাধারণ মানুষ হিসাবে ভাবুন। রূপালি পর্দার কথা আপাতত ভুলে যান। ওটা আমার পেশা।


আমার মনে হয়, যেমন অন্য পেশার মানুষ রাজনীতিতে আসতে পারেন, তেমন আমরাও পারি। আমাদের সেই যােগ্যতা আছে বলেই উনি আমাদের কথা ভেবেছেন। রাজনীতি ও সিনেমা দুটো ক্ষেত্রেই মানুষের কথা বলে, সমাজের কথা বলে। আমরা মানুষের সঙ্গে সংযােগ স্থাপন করতে পারি।’

রাজ আরও বলেন, খুব শীঘ্ন প্রচার শুরু হবে। আমার প্রথম কাজ হবে বারাকপুরের যত ভােটার আছেন। তাদের কাছে পৌছান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্য কি সেটা বােঝাতে চাই। বারাকপুর মাসল পাওয়ার ওরিয়েন্টেড জায়গা। সেখানে সবাইকে ডমিনেট করে রাখা হয়। আমি চেষ্টা করব সেখানে শান্তি ফেরানাের। শান্তির বার্তা পৌঁছে দিতে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলব। আমার কাজ ওখানে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করা। মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থাকা। এই কেন্দ্রে জেতাটা কি কঠিন?

এই প্রশ্নের উত্তরে রাজ জানান, ‘আমার জন্ম কঁচরাপাড়ায়, হালিশহরে আমি বড় হয়েছি, নৈহাটিতে আমার কলেজ। বারাকপুরের সমস্ত অলিগলি চিনি। কর্মসূত্রে আমি কলকাতায় থাকলেও আমার হালিশহরে বাড়ি রয়েছে। মনে প্রাণে আমি ওই এলাকার মানুষ, ওই ইমােশানটা বুঝি। তাই কঠিন না ভেবে, কী ভাবে মানুষের কাছে পৌছব, মানুষ কী চায়, সেটা বােঝা দরকার।

আমি সেটা বুঝতে পারলে মানুষ আমায় ভােট দেবেন। আমার বিশ্বাস মানুষ আমার পাশে থাকবেন। আজকে এই দলে আছি, কাল অন্য দলে চলে যাব না, সেই প্রতিশ্রুতি আমি দেব। আমি কথা দিচ্ছি এই আসনটি জিতে দিদিকে উপহার দেব।”