কলকাতা, ২৭ মার্চ: অবশেষে দিলীপ ঘোষের বেলাগাম মুখে এবার বোধহয় লাগাম পড়তে চলেছে। এজন্য ঘরে বাইরে চাপের মুখে বিজেপি-র বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনের প্রার্থী। মুখ্যমন্ত্রীকে কুরুচিকর মন্তব্যের জেরে একদিকে যেমন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চিঠি দিয়ে তাঁকে শোকজ করেছে। তেমনি নির্বাচন কমিশনও তাঁকে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে এই মন্তব্যের কারণ দর্শাতে বলেছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে তাঁকে এই মন্তব্যের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এবিষয়ে সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘আমি নির্দেশ মতো দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে সাংবিধানিক রীতিকে মর্যাদা দিয়ে কমিশনকে জবাব দেব।’’
গতকাল মঙ্গলবারই বিজেপি-র কেন্দ্রীয় কার্যালয় তাঁকে এই মন্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে নির্দেশ দেয়। সেই সঙ্গে তাঁকে এই ঘটনার কারণ দর্শাতে বলে। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির চিঠি পেয়ে তিনি আজ তাঁর কৃত মন্তব্যের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এরপর আজ নির্বাচন কমিশনও তাঁকে চিঠি দিয়ে এই মন্তব্যের জন্য জবাব চেয়ে পাঠাল।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদকে আক্রমণ করেন। সেই সঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ‘‘বিহার, উত্তরপ্রদেশ থেকে দিদি গোয়াতে গিয়েও নিজেকে গোয়ার মেয়ে বলেন। ত্রিপুরাতে গিয়ে বলেন ত্রিপুরার মেয়ে।’’ এই প্রসঙ্গে মমতার পিতৃ পরিচয় নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করেন।
এই মন্তব্যের জেরে সরব হয় তৃণমূল। নির্বাচন কমিশনেও অভিযোগ করে ঘাসফুল শিবির। নির্বাচনী বিধিভঙ্গের জন্য বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটি তাঁকে চিঠি দেয়। সেই চিঠিতে বলা হয়, “মাননীয় দিলীপ ঘোষ, আপনার আজকের বক্তব্য অশোভনীয় এবং অসংসদীয়। ভারতীয় জনতা পার্টির নীতির পরিপন্থীও। দল এই বক্তব্যের নিন্দা করছে। সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার নির্দেশানুসারে আপনি যত দ্রুত সম্ভব আপনার আচরণের ব্যাখ্যা দিন।”