• facebook
  • twitter
Friday, 18 October, 2024

রাজ্যপাল বোস সম্পর্কে মন্তব্য করতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রী: ডিভিশন বেঞ্চ

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের ব্যাপারে মন্তব্য করতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শুক্রবার জানিয়ে দিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ৷ পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে রাজ্যপালের মানহানি হয়েছিল কিনা তা কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চকেই বিবেচনা করে দেখতে বলল ডিভিশন বেঞ্চ৷ এছাড়াও ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, রাজ্যপালের ব্যাপারে মন্তব্য করা গেলেও তাতে যেন কোনওভাবেই তাঁর সম্মানহানি না ঘটে৷

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের ব্যাপারে মন্তব্য করতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শুক্রবার জানিয়ে দিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ৷ পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে রাজ্যপালের মানহানি হয়েছিল কিনা তা কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চকেই বিবেচনা করে দেখতে বলল ডিভিশন বেঞ্চ৷ এছাড়াও ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, রাজ্যপালের ব্যাপারে মন্তব্য করা গেলেও তাতে যেন কোনওভাবেই তাঁর সম্মানহানি না ঘটে৷ মানহানি সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন না হয়, এই বিষয়টা মুখ্যমন্ত্রীকে মাথায় রাখতে হবে৷

উল্লেখ্য, রাজ্যপালের মানহানি সংক্রান্ত মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি বিশ্বরূপ চৌধুরির ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করা হয়৷ শুক্রবার সেই মামলার শুনানি চলাকালীন ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, মানহানির বিষয়ে সিঙ্গল বেঞ্চকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ সব পক্ষের কাছ থেকে নতুন করে হলফনামা জমা নেবে আদালত৷ তারপর বিবেচনা করে দেখা হবে রাজ্যপালের মানহানি হয়েছে কি না৷

উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর একটি মন্তব্যের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মানহানির মামলা করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস৷ পরে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, রেয়াত হোসেন সরকার এবং তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকেও এই মামলায় যুক্ত করা হয়৷ গত ১৯ জুলাই বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়৷ আদালত জানায়, আগামী ১৪ অগাস্ট পর্যন্ত রাজ্যপালের মানহানি হয়, এমন কোনও মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন মুখ্যমন্ত্রী৷

মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবরী বক্তব্য, যে মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনগণের স্বার্থে করেছিলেন৷ রাজ্যপালের উদ্দেশে করা মুখ্যমন্ত্রীর কোনও মন্তব্যই মানহানিকর নয়৷ এই মামলায় কোনও প্রমাণ ছাড়াই অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়েছে সিঙ্গল বেঞ্চ৷ এরপর মুখ্যমন্ত্রীর তরফে সিঙ্গল বেঞ্চের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করা হয়৷ শুক্রবার ডিভিশন বেঞ্চ থেকে মামলাটি ফের সিঙ্গল বেঞ্চে ফেরত পাঠানো হয়৷