• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

দৌড়ে নয়, এবার ফাইল হাতে হেঁটেই সিজিওতে প্রবেশ সিভিক-ঘনিষ্ঠ এএসআই অনুপের

ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের 'ঘনিষ্ঠ' এএসআই

না, এবার দৌড়ে নয়। হেঁটেই সিবিআইয়ের দফতরে প্রবেশ করলেন আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের ‘ঘনিষ্ঠ’ এএসআই অনুপ দত্ত। গত মঙ্গলবারের পর ফের তাঁকে তলব করেছিল সিবিআই। সেই মতো শনিবার দুপুরে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের সিবিআই দফতরে হাজির হন তিনি। তাঁর হাতে ছিল বেশ কিছু ফাইলপত্র। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেওয়ার সময় সাংবাদিকদের ক্যামেরা দেখেই দৌড়ে ঢুকে গিয়েছিলেন দফতরে। তাঁর দিকে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিলেন, ‘সঞ্জয়কে চেনেন?’ উত্তর দেওয়া তো দূর, রীতিমতো দৌড়েই দফতরের অন্দরে প্রবেশ করতে হয়েছিল অনুপকে। এখানেই শেষ নয়, দৌড়তে দৌড়তে কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ানকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে একেবারে লিফ্‌টের মধ্যে গিয়ে থামেন। অনুপের সেই দৌড় দেখে বিস্মিত হন সিজিও কমপ্লেক্সে উপস্থিত লোকজন। পরে বিষয়টি বুঝতে পেরে শুরু হয় হাসাহাসি। শনিবার অবশ্য সে সব করেননি তিনি। ফাইল হাতে সোজা হেঁটে ঢুকে যান সিজিও দফতরে। তবে এড়িয়ে গিয়েছেন সাংবাদিকদের প্রশ্নবাণ।

তবে অনুপের সাথে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের সম্পর্ক কি, তা ভাবিয়েছে প্রত্যেক মহলকেই। সূত্রের খবর, সিভিক ভলান্টিয়ার হিসাবে প্রথমে কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী বা ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ বা ডিএমজি-তে যোগ দিয়েছিলেন আরজি কর কাণ্ডে ধৃত। তবে সেখানে অল্প কয়েকদিন কাজ করার পরেই তাঁকে পাঠানো হয় পুলিশের ওয়েলফেয়ার কমিটিতে। একজন সিভিক ভলান্টিয়ার হয়েও অভিযুক্ত কীভাবে পুলিশের ওয়েলফেয়ার কমিটিতে ছিলেন, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। এএসআই অনুপও পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির সদস্য বলেই সূত্রের খবর। উভয়ই পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির সদস্য হওয়ার সুবাদে তাঁদের পরিচয়। সেই সূত্র ধরেই সিবিআই দফতরে ডাক পেয়েছেন অনুপ। তবে এই নিয়ে দু’বার অনুপকে হাজিরা দিতে হল সিজিওতে।

প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আরজি কর কাণ্ডের তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিবিআই। আদালতের নির্দেশেই তাদের হাতে এই ঘটনার নথিপত্র তুলে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। এই কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারকেও তুলে দেওয়া হয়েছিল সিবিআইয়ের হাতে। আদালতের নির্দেশে এখন ধৃত জেল হেফাজতে রয়েছেন। তদন্তভার হাতে নিয়ে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ সহ একাধিক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা। সেই সাথে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ধৃতের ঘনিষ্ঠ এএসআই অনুপকেও। তবে গত মঙ্গলবার সিবিআই দফতরে প্রবেশের সময় এএসআই অনুপের হাতে ছিল না কোনো ফাইল, খালি হাতেই দফতরের ভেতরে প্রবেশ করেছিলেন তিনি। শনিবার তিনি বেশ কিছু ফাইলপত্র নিয়েই হাজিরা দেন। পাশাপাশি এদিন সিজিও দফতরে হাজিরা দেন কলকাতা পুলিশের আরও চার সদস্য। তাঁদের হাতে ছিল কলকাতা পুলিশ লেখা একটি ফাইল। চারজন পুলিশ কর্মীর মধ্যে একজন রয়েছেন সাইবার অপরাধ দমন শাখায়। এরপর সিজিও দফতরে এলেন আরজি কর আউটপোস্টের ওসি সহ প্রায় ১০ জন পুলিশকর্মী। শনিতেও দফায় দফায় চলে সিবিআই-জেরা।