নির্বাচনের নিয়ে পর্যালােচনা করতে বুধবার পাটনায় সংবাদমাধ্যমের মুখােমুখি হন চিরাগ পাসােয়ান। সেখানে তিনি বলেন, ‘অন্য সব দলের মতাে আমিও চিয়েছিলাম দল বেশি আসন পাক। তবে এবারের নির্বাচনে বিহারে বিজেপিকে শক্তিশালী দল হিসেবে তুলে আনাই আমার লক্ষ্য ছিল। সেই লক্ষ্যে পৌছতে পেরে আমি খুশি।’
প্রায় সব কেন্দ্রে দলের হেরে যাওয়া নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘হারের সংজ্ঞাটিা ঠিক কী বলুন তো? আমাদের দলের স্বপক্ষে সমর্থন তো বেড়েইছে।’
প্রসঙ্গত, নির্বাচনের আগে মারা গিয়েছিলেন চিরাগের বাবা রামবিলাস পাসােয়ান। এই নির্বাচন তাই চিরাগের কাছে ছিল নিজেকে প্রমান করার কষ্টিপাথর। তিনি শুরুতেই জানিয়ে দেন, বিজেপির সঙ্গে কোনও মতবিলােপ নেই। তবে নীতীশকে মুখ্যমন্ত্রী করার বিষয়ে একেবারেই সায় নেই তাঁর।
তই নীতীশকে হারাতে এনডিএ-র বাইরে গিয়েই লড়বেন তিনি। সেই মতো বিহারে জেডিইউ-এর বিরুদ্ধে ১২২ টি আসনে প্রার্থী দেন চিরাগ। বিজেপি’র বিরুদ্ধে প্রার্থী দেন মাত্র ১৫ টি আসনে। তাই গণনা শুরু হওয়ার পর দল যখন ক্রমশ পিছিয়ে পড়েছে, সেই সময় চিরাগকেই দায়ী করেন জেডিইউ নেতৃত্ব। চিরাগ ভােট কেটেছেন বলেই ২০ টি আসন জেডিইউ-এর হাতছাড়া হয়েছে বলে দাবি করেন তারা। চিরাগের জন্য এনডিএ সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ টি আসন হরিয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিজেপি’র সুশীলকুমার মােদিও।
যদিও মার একটি আসন পেয়ে যুদ্ধ জয়ের প্রশান্তি চিরাগের চোখেমুখে। এর জেরে বিজেপির সঙ্গে তাঁর গােপন বোঝাপড়া নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছুে। তবে এসবে ভ্রূক্ষেপ নেই লােক জনশক্তি পার্টি (এলজেপি)-র নেতা চিরাগ পাসােয়ানের। বরং নীতীশ কুমারের ভােট কেটে বিজেপি’র হাত শক্ত করতে পেরেছেন, তাতেই খুশি তিনি। তাঁর মন্তব্য, ‘যে লক্ষ্যে নিয়ে নেমেছিলাম, তা পূরণ করতে পেরেছি।’