• facebook
  • twitter
Friday, 18 October, 2024

ইস্তফার পথে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী

ইম্ফল, ২৯ জুন: জোর জল্পনা মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং-কে নিয়ে৷ তিনি নাকি ইস্তফা দিতে চলেছেন৷ তবে এই ইস্তফা তিনি নিজের ইচ্ছেতে নয়, দলের বিধায়কদের চাপে করতে পারেন বলেই জল্পনা৷ তবে মণিপুর সরকারের তরফে এই ইস্তফা নিয়ে এখনও কিছুই জানানো হয়নি৷ আর এরই মাঝে মণিপুরের একাধিক বিধায়ক হাজির দিল্লিতে৷ দিল্লিতে মণিপুরের বিধায়কদের উপস্থিতিই যেন সেই ইস্তফার জল্পনাকে আরও

মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। (Photo: IANS)

ইম্ফল, ২৯ জুন: জোর জল্পনা মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং-কে নিয়ে৷ তিনি নাকি ইস্তফা দিতে চলেছেন৷ তবে এই ইস্তফা তিনি নিজের ইচ্ছেতে নয়, দলের বিধায়কদের চাপে করতে পারেন বলেই জল্পনা৷ তবে মণিপুর সরকারের তরফে এই ইস্তফা নিয়ে এখনও কিছুই জানানো হয়নি৷ আর এরই মাঝে মণিপুরের একাধিক বিধায়ক হাজির দিল্লিতে৷ দিল্লিতে মণিপুরের বিধায়কদের উপস্থিতিই যেন সেই ইস্তফার জল্পনাকে আরও জোরালো করে দিয়েছে৷

জানা গিয়েছে, গত বছর ৩ মে মণিপুরে কুকি ও মেতেই জনগোষ্ঠীর সংঘর্ষের পর গোটা রাজ্যজুডে় যে অশান্তির আগুন ছডি়য়েছে, তা নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং৷ সেই প্রসঙ্গ টেনেই এন বীরেন সিং-কে যাতে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, তার জন্য বিজেপি, জোটসঙ্গী এনপিএফ, এনপিপি, জেডিইউ-র বিধায়ক ও নেতারা বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন৷

উল্লেখ্য, এর আগে, গত জুন মাসে যখন মণিপুরে অশান্তি চরমে পৌঁছেছিল৷ সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন এন বীরেন সিং৷ তিনি ইস্তফাপত্র নিয়ে রাজ্যপালের বাডি়র উদ্দেশে রওনাও দিয়েছিলেন। কিন্ত্ত মানবশৃঙ্খল বানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় আটকে দেওয়া হয়৷ পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন না বলেও জল্পনা উডি়য়ে মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং বিজেপি ও জোটসঙ্গী নাগা পিপলস ফ্রন্ট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির বিধায়করা দিল্লি যাত্রার কথা স্বীকার করেছেন৷ তবে অন্যদিকে, এর সঙ্গে তাঁর পদের কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী৷

এন বীরেন সিং বলেন, “এনডিএ-র জোটসঙ্গীদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে৷ সকলের সম্মতিতে মণিপুরে শান্তি বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হবে৷ প্রধানমন্ত্রী মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দিল্লি যাওয়ার কথাও আলোচনা হয়েছে৷ বিধায়করা আমার উপরে ভরসা করেছেন৷ কিন্ত্ত যেহেতু সংসদে অধিবেশন চলছে, সকলে ব্যস্ত, তাই আমি কেন বিরক্ত করব ওঁদের (প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী)? যখন মিটিং হবে, তখন আমিও যাব৷ কেউ কেউ দিল্লিতে গিয়েছেন৷ এর সঙ্গে ইস্তফার কোনও যোগ নেই৷”

বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, মুখ্যমন্ত্রীর উপরে চাপ সৃষ্টি করছেন ইস্তফা দেওয়ার জন্য৷ সূত্রের খবর, এবারের লোকসভা নির্বাচনে মণিপুরের দুটি আসনই বিজেপির হাতছাড়া হয়েছে৷