ঈদের জন্য বিজেপি প্রতিনিধিদলের কর্মসূচীতে রদবদল

প্রতীকী চিত্র

নিজস্ব প্রতিনিধি:  রবিবার ভোট পরবর্তী ‘হিংসা’ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রবিবার সন্ধ্যাতেই রাজ্যে এসেছে  বিজেপির প্রতিনিধি দল। সেই দলে রয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সাংসদ বিপ্লব দেব, বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ। তবে প্রতিনিধি দলের কর্মসূচিতে কিছুটা রদবদল হয়েছে। ইদের কারণেই সেই রদবদল। প্রথমে তাঁরা যাবে মাহেশ্বরী ভবনে। সেখানে ‘ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত এবং ঘরছাড়া’দের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে বিজেপির উদ্যোগে। সেখানে ‘আক্রান্ত’দের সঙ্গে কথা বলবেন প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা। তার পর তাঁদের সন্দেশখালি, বাসন্তী, ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার কথা ছিল বিজেপির বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের সঙ্গে। তাতেই হয়েছে রদবদল। ইদের কারণে সোমবার সেখানে যাচ্ছেন না প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা। পরিবর্তে সোমবার সকালে প্রতিনিধি দল যাচ্ছে কোচবিহারে। সেখানে তারা কথা বলবে ‘হিংসায় আক্রান্ত’দের সঙ্গে। তার পর রাতে ফিরে আসবে কলকাতায়। পরের দিন, মঙ্গলবার যাবে সন্দেশখালি, বাসন্তী, ডায়মন্ড হারবার। সেখানে ‘আক্রান্ত’দের সঙ্গে কথা বলবেন সদস্যেরা। এর পর ফিরে যাবেন দিল্লিতে।বিজেপির দাবি, ভোটের পর দেশে ‘হিংসা’ হয়েছে শুধু পশ্চিমবঙ্গে। সেই হিংসার কারণ অনুসন্ধান করার জন্য চার সদস্যের দল পাঠানো হচ্ছে। দলের সদস্যদের নির্বাচন করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। শনিবার এ নিয়ে একটি প্রেস বিবৃতি জারি করে বিজেপি। তাতে সই রয়েছে বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিংহের। বিবৃতি থেকে জানা গিয়েছে, ওই প্রতিনিধি দলে বিপ্লব, রবিশঙ্কর প্রসাদ ছাড়াও থাকছেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি তথা বর্তমানে রাজ্যসভার সাংসদ ব্রিজলাল এবং মধ্যপ্রদেশের রাজ্যসভা সাংসদ কবিতা পাতিদার। প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই চার সদস্যের কমিটি পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বকে।বিজেপি বার বার অভিযোগ করেছে, লোকসভা ভোট শেষ হওয়ার পর থেকে বাংলায় ‘হিংসার শিকার’ তাদের সমর্থকেরা। বিজেপি প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ”গোটা দেশে এ বার লোকসভা ভোট হয়েছে শান্তিপূর্ণ ভাবে। ২৮টি রাজ্য এবং ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে লোকসভা ভোট ছাড়াও চার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটিতে ক্ষমতার বদলও হয়েছে। অথচ কোথাও কোনও হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেনি। হয়েছে শুধুমাত্র বাংলায়।”ভোট পরবর্তী ‘হিংসা’ নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বাংলার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন। তা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছেন। গত শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা  নির্দেশ দিয়েছেন, নতুন করে রাজভবনে আবেদন করতে হবে শুভেন্দু অধিকারী কে।