• facebook
  • twitter
Wednesday, 30 October, 2024

শহিদের রক্তেই এসেছিল পরিবর্তন

দেবাশিস কুমার: ১৩ জন তরতাজা যুবকের প্রাণের আত্মবলিদানেই আজ সারা দেশের মানুষ সচিত্র পরিচয়পত্র বা সচিত্র ভোটার কার্ড পেয়েছিল জীবনকে বাজি রেখে৷ এই ২১শে জুলাই আম্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কলকাতা পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডে ২১শে জুলাই শহিদ স্মরণ কর্মসূচির সমর্থনে এক পথসভায় এই আত্মবলিদানের কথা সকলকে স্মরণ করালেন কলকাতা পুরসভার পুরপারিষদ তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

দেবাশিস কুমার: ১৩ জন তরতাজা যুবকের প্রাণের আত্মবলিদানেই আজ সারা দেশের মানুষ সচিত্র পরিচয়পত্র বা সচিত্র ভোটার কার্ড পেয়েছিল জীবনকে বাজি রেখে৷ এই ২১শে জুলাই আম্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কলকাতা পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডে ২১শে জুলাই শহিদ স্মরণ কর্মসূচির সমর্থনে এক পথসভায় এই আত্মবলিদানের কথা সকলকে স্মরণ করালেন কলকাতা পুরসভার পুরপারিষদ তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনের একনিষ্ঠ সৈনিক দেবাশিস কুমার৷ এদিনের এই পথসভায় দেবাশিসবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সহ জনপ্রতিনিধিরা৷ সভার শুরুতেই মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার স্মরণ করিয়ে দেন ২১শে জুলাইয়ে সচিত্র পরিচয়পত্রের জন্য আন্দোলনের কথা৷

পাশাপাশি, বাম আমলের সন্ত্রাসের সেই সময়ের ভয়ঙ্কর দিনগুলির কথাও তুলে ধরেন তাঁর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে৷ তিনি বলেন, তৎকালীন দিনে বালিগঞ্জ উপনির্বাচনে কীভাবে সিপিএম ছাপ্পাবাজি করে জয়ী হত সচিত্র পরিচয়পত্র না থাকায়৷ বারবার নাম পরিবর্তন করে দেওয়া হত ছাপপা ভোট দেওয়ার জন্য৷ কারণ সিপিএম এই পথ অনুসরণ করে মানুষের রায়কে না মেনে সর্বদা ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল৷ তিনি বলেন, বহু নির্বাচনে এবং জনসভায় মানুষের সঙ্গে কথা বলে তৎকালীন যুবকংগ্রেস নেত্রী তথা বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানতে পেরেছিলেন৷

মানুষের ইচ্ছে থাকলেও অন্য কোনও দলকে ভোট দিতে পারতেন না৷ ভোট না দিলে অত্যাচার থেকে শুরু করে গ্রামে একঘরে বন্দি করে রাখার মতো কাণ্ড ঘটাত সিপিএমের হার্মাদরা৷ এরপরই মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে মহাকরণ অভিযানের ডাক দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাক শুনে ২১শে জুলাই অগণিত মানুষ কলকাতার রাস্তায় জমা হতে শুরু করেন৷ ধর্মতলা, বউবাজার, রাসবিহারী এলাকায় মানুষের ভিড় দেখে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা জ্যোতি বসু ভেবেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি গদি নিয়ে নেয়৷ সেই ভয়েই সাধারণ নিরস্ত্র মানুষের উপর নির্বিচারে গুলি চালানো হয়৷ ১৩টি তরতাজা প্রাণ সেদিন চলে যায়, আহত হন বহু মানুষ৷ সেদিন পিজি হাসপাতালে যেন মনে হচ্ছিল মৃতু্যমিছিল৷ এই আন্দোলনের ফলেই সারা ভারতবর্ষের মানুষ সচিত্র পরিচয়পত্র পেয়েছিল৷ দেবাশিসবাবু আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি ২১শে জুলাই এর আন্দোলন না হলে ২০১১-এর পরিবর্তনের সরকার দেখা যেত না৷

তাই ২১ জুলাই শুধু আন্দোলনের দিন নয়, এটি মহান দিন৷ মহালয়ার দিন যেমন সকলে পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ করেন, ঠিক তেমনই ২১শে জুলাই আমরা সেইসকল আপনজনদের আমরা স্মরণ করি৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শহিদ পরিবারদের মর্যাদা দিয়েছেন, তাঁদের সুবিধা-অসুবিধায় পাশে দাঁড়িয়েছেন৷ তিনি মনে করেন শহিদের কোনও রং হয় না৷ সকল শহিদদের সম্মান জানান৷