• facebook
  • twitter
Thursday, 19 September, 2024

আর জি কর কাণ্ডে অভিযুক্ত সঞ্জয়ের আরও কিছু সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহে লালবাজারে সিবিআই

ঘটনার আগে সেই রাতে যৌন পল্লীতে গিয়েছিল অভিযুক্ত

আর জি কর কাণ্ডে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় পুলিশ দ্রুত গতিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সিভিক পুলিশ সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে। সেমিনার হল সংলগ্ন সিসিটিভি-র ফুটেজ ও হাসপাতালের অন্যান্য কিছু সিসিটিভি ফুটেজে তার গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয়। জেরার মুখে সঞ্জয় অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছে বলে দাবি পুলিশের। ঘটনার দিন সেই সঞ্জয় রায়ের শহরে আরও কিছু সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে লালবাজারে গেল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। এর আগে সঞ্জয় রায়ের বেশ কিছু সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই ফুটেজ থেকে দেখা যায়, ঘটনার আগে সেই রাতে যৌন পল্লীতে গিয়েছিল অভিযুক্ত।

সূত্রের খবর, শহরের বিভিন্ন রাস্তায় বসানো সিসিটিভি-র ফুটেজ নিতেই লালবাজারে গিয়েছে তদন্তকারীরা। গোয়েন্দারা সঞ্জয়ের গতিবিধির বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে দেখতে চাইছে। সেজন্য ঘটনার আগে ও পরে আরও বেশ কিছু সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে চাইছেন তাঁরা। আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত ব্যক্তি কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার। সেজন্য এর আগে সল্টলেকে কলকাতা পুলিশের ফোর্থ ব্যাটালিয়নের ব্যারাকে গিয়েছিল সিবিআই-এর তদনকারী দল। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ওই ব্যারাকে নিয়মিত যাতায়াত ছিল ধৃত সঞ্জয়ের। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পরে আর জি কর থেকে সোজা সেখানেই গিয়েছিল অভিযুক্ত সঞ্জয়। সেখান থেকে রাতে আটক করে কলকাতা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রসঙ্গত আর জি কর-এর এই ধর্ষণ ও হত্যার তদন্তে এখনও পর্যন্ত ২০ জনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। এর আগে কলকাতা পুলিশের কয়েকজন আধিকারিক, এই মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা সিট (বিশেষ তদন্তকারী দল)-এর সদস্য এবং টালা থানার ওসি-কে তলব করেছিল সিবিআই। সূত্রের খবর, টালা থানার ওসি সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে তদন্তের বেশ কিছু নথি সিবিআই-এর হাতে তুলে দেন।

এদিকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন প্রিন্সিপ্যাল সন্দীপ ঘোষকে চারদিন ধরে চলছে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। সোমবার সকালেও তাঁর জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। কেন বার বার সন্দীপকে তলব করা হচ্ছে, তা-ও স্পষ্ট নয় এখনও। তবে এই সময়ে সিবিআই-এর বেশ কয়েকজন তদন্তকারী আধিকারিকরা সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে যান। একটি দল ফের আর জি কর-এ যায়। অন্য একটি দল লালবাজারে যায়। আরও একটি দল ফের মৃত চিকিৎসকের বাড়িতে যায়। সেখানে তাঁর বাবা মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা নিশ্চিত হতে চাইছেন, কেন ওই চিকিৎসকের বাবা মা এই খুনের ঘটনার পিছনে ষড়যন্ত্র আছে বলে দাবি করছেন?