• facebook
  • twitter
Monday, 16 September, 2024

কংগ্রেস এবং বিজেপিকে ধর্ণা ও মিছিলের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট

২৯ আগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে অবস্থান বিক্ষোভ করতে পারবে

আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণী খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য় তথা রাজনীতি। এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি ও কংগ্রেসকে ধর্ণা ও মিছিল কর্মসূচি করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। এদিনের শুনানিতে কংগ্রেসের আইনজীবী ২৯ আগস্ট কলেজ স্কোয়্যার থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিলের আবেদন করেন। যেহেতু হাইকোর্টে এই আবেদনের বিরোধিতা করেনি রাজ্য় সরকার, তাই শর্তবিহীনভাবে মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসকে।

অন্যদিকে, আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপির তরফে ধর্মতলায় ধর্ণা কর্মসূচি করার জন্য় কলকাতা পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়। কিন্তু কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে কোনও সবুজ সংকেত না পাওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। এদিন শুনানিতে আদালত জানিয়েছে, ২৯ আগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে অবস্থান বিক্ষোভ করতে পারবে তারা। কিন্তু কোনও পরিস্থিতিতেই প্রতিবাদ মঞ্চে এক হাজার জনের বেশি থাকা যাবে না। স্বাভাবিকভাবেই হাইকোর্ট থেকে অনুমতি পেয়ে সন্তুষ্ট দুই বিরোধী দলের নেতারা।

যদিও বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২৭ আগস্ট কংগ্রেস-বিজেপি দুই বিরোধী দলই পৃথকভাবে নিজেদের কর্মসূচি পালন করবেন। বিজেপি যদিও বা লাগাতার ধর্ণা কর্মসূচির প্রচেষ্টায় আছে, কিন্তু আদালতে তারা কেবল ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্তই অনুমতি পেয়েছে। কংগ্রেসের তরফে সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা নিলয় প্রামাণিক বলেন, ‘চাপে বাপ বলতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য সরকার। এর আগে আমরা কোনও কর্মসূচির জন্য আবেদন করলে তো পুলিশ জবাব দিত না। অথচ আজ যখন হাইকোর্টে আবেদন করলাম, তখন রাজ্য সরকারের আইনজীবীরা তার বিরোধিতা করেননি। এই চাপ সম্ভব হয়েছে রাজ্যবাসীর জন্য। তাই পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে রাজ্যের মানুষকে স্বাগত জানাই।’

অন্যদিকে, বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে প্রতিবাদ করতে গেলে তো কলকাতা হাইকোর্ট ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। তাই কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানাই। আরজি কর হাসপাতালে যে চিকিৎসক বোনটি মারা গিয়েছেন, তাঁর মৃত্যুর বিচার এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ যত দিন না হবে, ততদিন আমাদের প্রতিবাদ চলতে থাকবে।’