কর্নাটকের রাজ্য রাজনীতিতে প্রায় এক মাস ধরে চলা রাজনৈতিক টানাপােড়েন ও ঘােড়া কেনাবেচার পর সেই কেনা ঘােড়ার পিঠে চেপে ক্ষমতায় বসলেন কর্নাটকের বিজেপি প্রধান বি এস ইয়েদুরাপ্পা।
এদিন সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ শপথ নেন তিনি। এদিন সকালেই রাজ্যপাল বাজুভাই বালার সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনের দাবি জানান। রাজ্যপাল সেই দাবি মেনে নিয়েছেন। কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রী পদে চতুর্থ বারের জন্য শপথ নিলেন বি এস ইয়েদুরাপ্পা।
শপথ নেওয়ার সময় তিনি নামের বানানে পরিবর্তন করেন। রাজ্যপাল বাজুভাই বালা ইয়েদুরাপ্পাকে শপথবাক্য পাঠ করান। ইয়েদুরাপ্পা এদিন জানান, জেতার ব্যাপারে তারা ১০০ শতাংশ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন।
কর্নাটকের বিধানসভা সূত্রের খবর, আগামী সােমবার বিধানসভায় শক্তিপরীক্ষা হবে ইয়েদুরাপ্পা সরকারের। রাজ্যপাল তাঁদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য ১ সপ্তাহ সময় দিয়েছেন।
রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পর ইয়েদুরাপ্পা জানিয়েছেন, ‘কংগ্রেস ও জেডি (এস) নেতাদের নিয়ে শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য।ভারপ্রাপ্ত মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার কাছে অনুরােধ জানিয়েছি। আমার সঙ্গে আর কে কে মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন তা নিয়ে বিজেপি সভাপতির সঙ্গে আলােচনা করবাে’।
বিজেপির হাতে রয়েছে ১০৬ জন বিধায়ক। একজন নির্দল বিধায়কের সমর্থন রয়েছে সঙ্গে। কংগ্রেস-জেডি (এস)-এর হাতে রয়েছে ১০০ জন বিধায়ক। ৩ জনের বিধায়ক পদ খারিজ করেছে অধ্যক্ষ। ২২৫ কর্নাটক বিধানসভা আসনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২২-এ। ম্যাজিক ফিগার ১১২। বিজেপির হাতে এখনও ৬ জন বিধায়ক কম রয়েছে।
মঙ্গলবার আস্থা ভােটে পরাজিত হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন এইচ ডি কুমারস্বামী। বৃহস্পতিবার ৩ বিদ্রোহী বিধায়কের পদ বাতিল করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ কে আর রমেশ কুমার। নির্দল বিধায়ক আর শঙ্করকে তিনি সর্বপ্রথম সাসপেণ্ড করেন।
আর শঙ্কর সেই দুই নির্দল বিধায়কের মধ্যে একজন যিনি কুমারস্বামী সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়ে বিজেপিকে সমর্থন করেন। বাকি দু’জন কংগ্রেস বিধায়ক রমেশ জারকিহােলি এবং মহেশ কুমাঠহালি। চলতি মাসের শুরুতেই এরা ইস্তফা দিয়েছিলেন।
অধ্যক্ষ বিধায়কদের ইস্তফা গ্রহণ না করে খারিজ করে দেওয়ায় চলতি বিধানসভার মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা ভােটে দাঁড়াতে পারবেন না। অর্থাৎ ৪ বছর ভােটে দাঁড়ানাে বা বিধানসভায় নির্বাচিত হয়ে আসার অধিকার রইল না।
বাকি ১৪ জন বিধায়কের ক্ষেত্রে করতে চলেছেন কিনা তা নিয়ে চর্চা চলছে রাজনীতিতে। কারণ এদের একটা বড় অংশকেই মন্ত্রী করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দলবিরােধী কাজ করিয়েছে বিজেপি।