• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

দেওয়াল ভেঙ্গে প্রমাণ লোপাট? আরজিকর কান্ডে ফের হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ

আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম।

ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী বুধবার আরজিকর কান্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই তাদের নিজস্ব তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। সিবিআইয়ের তিনটি পৃথক দল এই তদন্তে নেমেছে।গত মঙ্গলবার দু দফায় শুনানি শেষে কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই কে এই মামলার তদন্তভার দেয়।এরেই মধ্যে গত মঙ্গলবার তথ্য লোপাটের অভিযোগ ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছিল আরজিকর হাসপাতাল চত্বর। ঘটনাস্থলের অদূরেই এক দেওয়াল ভাঙ্গা কে নিয়ে এই চাঞ্চল্য। কিছুটা অংশ ভাঙ্গা হলেও একপ্রকার বাধ্য হয়ে কাজ স্থগিত করে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় এদিন।

এক জনস্বার্থ মামলাকারী আইনজীবী বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। গত মঙ্গলবার আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। কলকাতা পুলিশকে ফাইল সহ অন্যান্য তথ্য – ফুটেজ তুলে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।ইতিমধ্যেই এই মামলার সিংহভাগ কাগজপত্র বুঝে নিয়েছে সিবিআই।

এর পাশাপাশি এই মামলার ধৃত কে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। জানা যায়, গত মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআই তদন্ত নির্দেশ জারির পর রাতেই আরজি কর হাসপাতালে ভিতরে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। তা নিয়ে তুলকালাম পরিস্থিতি হয় হাসপাতালের ভিতর। হাসপাতালের ভিতর তরুণী জুনিয়র চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয় সেই সেমিনার রুমের কয়েক হাত দূরে হঠাৎ করেই সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছিল। গত।মঙ্গলবার হাসপাতালের ভিতর ওই জায়গায় সংস্কারের কাজ শুরু হয় হঠাৎ করে কেন এই সংস্কার? শুধুই কি সংস্কার? নাকি প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করছে? হাসপাতলে ঢুকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন অনেকেই। পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয় বিক্ষোভকারীদের।এই ঘটনা নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করানো হয় । আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হলের দেওয়াল ভাঙা নিয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ জনস্বার্থ মামলাকারীদের। তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।বুধবার সেই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত দিলেন প্রধান বিচারপতি।প্রধান বিচারপতি এদিন এজলাসে জানান -‘ তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে। তারা জানে কী করতে হবে?’ সিবিআই তদন্তে আস্থা রেখেছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।