মান্ডি, ৪ জুন– বরাবরই তিনি ঠোঁটকাটা হিসেবে পরিচিত৷ বলিউডে নেপোটিজমের বিরুদ্ধে লড়াই থেকে শুরু করে রাজনীতির ময়দানে জিত৷ মান্ডিতেও তিনিই বিজয়ী৷ তিনি বলিউডের ‘কু্যইন’ কঙ্গনা রানাওয়াত৷
জয়ের পর সাংবাদিক বৈঠকে কঙ্গনা বলেন, ‘আজকের এই দিনটা আমার জন্য বিশেষ দিন৷ প্রার্থী হিসেবে এটা আমার প্রথম নির্বাচন ছিল৷ যেহেতু রাজনীতিতে প্রথম, সেহেতু নানা অনিশ্চয়তা ছিল৷ এটা আমার প্রথম জয়ও৷ আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার দলীয়কর্মীদের৷ নেতা জয়রাম ঠাকুরজিকে৷ যিনি প্রথম থেকে আমার পাশে ছিলেন৷ আমাদের সব বিধায়কদেরও ধন্যবাদ৷ তবে মাথানত করে ধন্যবাদ জানাই মাণ্ডির সমস্ত মানুষকে৷ মাণ্ডিকন্য়া, মাণ্ডির বোন কঙ্গনাকে এত ভালোবাসা দিয়েছে৷ মাণ্ডির সেনা হিসেবে মাণ্ডিকে রক্ষা করব৷ বিকাশ করব৷’
‘খাঁটি দেশপ্রেমিক’ হিসাবে তিনি নিজেকে আগেই চিনিয়ে দিয়েছেন৷ কোনও রকম লড়াই লড়তেই তিনি পিছপা নন কখনও৷ রাজনীতিতে এসেও তাঁর ব্যতিক্রম হল না৷ মান্ডির ভোটের অঙ্কটা এবার মোটেও সরল ছিল না৷ লড়াইটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল আত্মপ্রতিষ্ঠা বনাম আত্মরক্ষার৷ রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা বনাম রাজনৈতিক অস্তিত্বরক্ষার৷ সেই লড়াইয়ের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছিল খোদ কঙ্গনা৷ তাঁর প্রবল প্রতিপক্ষ ছিলেন মান্ডির ‘রাজাসাহেব’ বিক্রমাদিত্য সিং৷ মান্ডির প্রয়াত রাজা বীরভদ্র সিংয়ের পুত্র৷ বীরভদ্র সিং হিমাচলের রাজনীতিতে কিংবদন্তি৷ বহুবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন৷
কঙ্গনার জন্য মান্ডির লড়াই ছিল রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠা পাওয়ার৷ কিন্ত্ত বিক্রমাদিত্যর জন্য লড়াইটা নিজেদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার৷ এই আবহে অভিষেকেই ব্লকবাস্টার পারফরমেন্সের নমুনা রাখা সহজ নয়৷ কঙ্গনা পারলেন৷
রক্ষণশীল হিন্দুদের একাংশের আপত্তি ছিল কঙ্গনার অভিনয় পেশা এবং পোশাকআশাক নিয়ে৷ তবে সে সবের পাশপাশি কঙ্গনার প্লাস পয়েন্ট ছিল মোদি-হাওয়া৷ দেখা গেল, সেই হাওয়ায় ঘর গুছোতে বিন্দুমাত্র ভুল করেননি তিনি৷ তাঁর প্রচারেও সেই পরিশ্রমের ছাপ ছিল৷ ভোট ফ্যাশনেও দলের রং এবং হিমাচলী ঐতিহ্যকেই প্রাধান্য দিয়েছিলেন কঙ্গনা রানাউত৷ ভোটের দিন বুথ থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদির আদর্শ আর দর্শন মেনে কাজ করার দিন এসেছে৷ তিনি যে কারিগরি ও আধুনিক উন্নয়নমূলক কাজ করছেন তা অসাধারণ৷ এখন আমি তাঁর দলের অংশ এবং দলীয় কর্মী হিসাবে মান্ডির উন্নয়নমূলক কাজে অঙ্গীকারবদ্ধ৷’