সমীক্ষা:এক মাসেই গেরুয়ার জনপ্রিয়তা ১৯শতাংশ কমেছে

মোদি এবং অমিত শাহ (Photo: RAVEENDRAN/AFP/Getty Images)

বিভিন্ন সমীক্ষায় এর আগে সামনে এসেছে বিজেপির উত্থানের ছবি।কোনো সমীক্ষায় মোদি লেটার মার্ক্স পেয়েছেন,কোনটায় বিজেপি সবার সেরা হ্যেছে।উপত্যকায় হামলার পরবর্তী সময় যে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার, তারপর জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠেছিলেন মোদি।দেখতে দেখতে সেদিন পেরিয়ে প্রথম দফার লোকসভার ভোট হয়ে আজ দ্বিতীয় দফার ভোট।আর এখন সমীক্ষায় যে চিত্র ধরা পড়েছে তাতে মোদির জনপ্রিয়তা নিম্নমুখী।

মোদি ো বিজেপির পক্ষে ছবিটা পালটে গিয়েছে প্রথম দফার ভোটের পরেই। বিজেপি যে পরিমাণ ভোট পাবে বলে আশা করছিল তার চেয়ে কমতে পারে আসন সংখ্যা,এমনটাই উঠে আসছে সমীক্ষায়।ভারতের প্রথম সারির দুটি সমীক্ষন সংস্থা সি ভোটার এবং সিএসডিএস’র দাবি এমনটাই।সমীক্ষা অনুযায়ী,গোটা দেশেই জনপ্রিয়তা কমেছে মোদি সরকারের।উল্লেখযোগ্যভাবে,গত এক মাসে বিজেপির জনপ্রিয়তা কমেছে ১৯ শতাংশ।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সিএসডিএস’র ডিরেক্টর সঞ্জয় কুমার জানিয়েছেন,  উত্তরপ্রদেশে বেশির ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত কেন্দ্রে গতবারের তুলনায় অনেক কম ভোটই পড়েছে।এর থেকে স্পষ্ট যে গতবারে সেখানে মোদি হাওয়া ছিল,তাতে এবার ভাটার টান।গত লোকসভায় এখানে আটটি কেন্দ্রেই জিতেছিল বিজেপি।এবার সেটা মোদি-শাহের স্বপ্ন বলেই মনে হচ্ছে।অন্যদিকে সিএসডিএস’র সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছিল, উত্তরপ্রদেশ থেকে অন্তত ৪০টি আসন পাবে বিজেপি।কিন্তু প্রথম দফার পর সেই সংখ্যাটা ২৫-এ নামিয়ে আনা হয়েছে।


গোবলয়ে সবচেয়ে বড় রাজ্যের পাশাপাশি বিহার, মহারাষ্ট্রেও ঘাটতি হবে গেরুয়া ভোটে,দাবি করা হয়েছে সমীক্ষায়। সিএসডিএস’র মতো নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছিল সি-ভোটারও। তাদের দাবি,পুলওয়ামা হামলার পরবর্তী সময় মোদির জনপ্রিয়তা দেশজুড়ে যে হারে বেড়েছিল তাতে এখন ভাঁটা পড়েছে।