নিজস্ব প্রতিনিধি— এবার সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ ভোটের আগে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে দিয়ে তৃণমূলকে হেনস্থার অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শনিবার ভূপতিনগরে এনআইএ-র উপর হামলার নেপথ্যে বিজেপির চক্রান্তের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রবিবার তথ্য সহ সেই অভিযোগের প্রমাণ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন কুণাল ঘোষ, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য৷ ‘বাংলা বিরোধী’ ষড়যন্ত্র করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, তাতে মূল চক্রান্তকারী ছিলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি, এই দাবিতে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল৷ তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, গত ২৬ মার্চ এনআইএ-এর এসপি ধনরাম সিংহের বাডি়তে বৈঠক করেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এসপি ধনরাম সিং-এর বাডি়র ঠিকানা তুলে ধরে এদিন কুণাল জানান, গত ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় সাডে় ৬ টায় ওই বাডি়তে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি৷ আর সেখানেই বাংলার কোন তৃণমূল নেতাদের বাডি়তে এনআইএ হানা দেবে তার তালিকা দেওয়া হয় বলে দাবি কুণালের৷ শুধু তাই নয়, একটি সাদা প্যাকেটও এনআইয়ের ওই অফিসারকে দেন বিজেপি নেতা৷ সেই প্যাকেটে টাকা ছিল কি না? তা পুলিশের কাছে তদন্তের দাবি জানিয়েছে তৃণমূলের মুখপাত্র৷ আগেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অতিসক্রিয়তা নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দেগেছিল তৃণমূল৷ শনিবার ভূপতিনগরের ঘটনায় এনআইএ-র অভিযান ও দুই নেতাকে গ্রেফতারিতে ‘ষড়যন্ত্র’ তত্ত্বের পালটা চাপ দিতে শুরু করলেন শাসক শিবিরের নেতারা৷ সূত্রে প্রকাশ, এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল৷ ভূপতিনগরের ঘটনায় এনআইএ এবং বিজেপির ‘যোগসূত্র’ রয়েছে৷ যার নথি প্রকাশ্যে এনে কুণাল ঘোষের দাবি, ভোট ঘোষণার পর যখন নির্বাচনী আচরণবিধি জারি রয়েছে ঠিক তখনই বিজেপির সঙ্গে এনআইএ-র অর্থের লেনদেন হয়েছে৷ যার পরিপ্রেক্ষিতেই শনিবার ভোর রাতে ভূপতিনগরে হানা দেয় তদন্তকারীরা৷ তাই ধনরাম সিং-এর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হোক৷ তৃণমূলের স্পষ্ট অভিযোগ, বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েই অর্থের বিনিময়ে তৃণমূল কর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে৷ বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে মূল ‘ষড়যন্ত্রকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ এনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও৷ ইডি, সিবিআই, এনআইএ-র মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাজে লাগাচ্ছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার, বার বার এমনই অভিযোগ করেছে তৃণমূল৷ আর ভূপতিনগরের ঘটনায় এনআইএ যে বিজেপির সঙ্গে যোগসাজশ করে তৃণমূল কর্মী-নেতাদের ‘ফাঁসানোর’ ষড়যন্ত্র করছে, তার সত্যতা নিয়ে কারও সংশয় থাকলে থাকলে, ভিডিও রিলিজের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কুণাল৷ তবে শুধু মৌখিক অভিযোগেই থেমে থাকছে না ঘাসফুল শিবির৷ ভোটের মুখে এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবে বলেও তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে৷ চলতি সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টের দিকে নজর রাখছে রাজনৈতিক মহল৷
