• facebook
  • twitter
Sunday, 6 October, 2024

বিজেপির ডবল-ইঞ্জিন মানে মূল্যবৃদ্ধি-দুর্নীতি, তোপ কেজরিওয়ালের

বিজেপির ডবল-ইঞ্জিন মানে মূল্যবৃদ্ধি-দুর্নীতি। এভাবেই গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ করলেন আম আদমি পার্টির জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

বিজেপির ডবল-ইঞ্জিন মানে মূল্যবৃদ্ধি-দুর্নীতি। এভাবেই গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ করলেন আম আদমি পার্টির জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর কথায়, বিজেপি ‘ডবল ইঞ্জিন সরকার’ কেবল ‘মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব এবং দুর্নীতি’ উপহার দেয়।

আপের জনতা কি আদালত অনুষ্ঠানে কেজরিওয়াল বলেন, “হরিয়ানা এবং জম্মু ও কাশ্মীরে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ডবল ইঞ্জিন সরকার বিদায় নিতে চলেছে। ডাবল ইঞ্জিন ধারণাটি দেশব্যাপী ব্যর্থ হয়েছে। জুন মাসে মাত্র ২৪০টি আসন পেয়ে একটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়, আর এখন হরিয়ানা, জম্মু ও কাশ্মীর, মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডে দ্বিতীয় ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাবে।

আপের জনতা কি আদালত অনুষ্ঠানে কেজরিওয়াল বলেন, হরিয়ানা এবং জম্মু ও কাশ্মীরে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ডবল ইঞ্জিন সরকার বিদায় নিতে চলেছে। ডাবল ইঞ্জিন ধারণাটি মুখ থুবড়ে পড়েছে। জুন মাসে মাত্র ২৪০টি আসন পেয়ে একটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়, আর এখন হরিয়ানা, জম্মু ও কাশ্মীর, মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডে দ্বিতীয় ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাবে। জনগণ এখন বুঝতে পেরেছে যে ‘ডাবল ইঞ্জিন’ মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব এবং দুর্নীতির সমার্থক।

কেজরিওয়াল বলেন, দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে, ওরা ততই ডবল ইঞ্জিন সরকারের কথা বলবে। ওদের জিজ্ঞেস করা উচিত, হরিয়ানা ডবল ইঞ্জিন সরকার কী কাজ করেছে? ওরা ওখানে ১০ বছর ক্ষমতায় আছে কিন্তু আমি গ্রামে গ্রামে প্রচারে গিয়ে দেখেছি, সেখানকার মানুষ বিজেপিকে চায় না।

উত্তরপ্রদেশে বিজেপির শাসনের সমালোচনা করে কেজরিওয়াল বলেন, সাত বছর ধরে উত্তরপ্রদেশে ওদের ডবল ইঞ্জিন সরকার ছিল, তা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক নির্বাচনে ওরা মাত্র অর্ধেক আসন পেয়েছে। মণিপুরে ওদের নজরদারিতে দু’বছর ধরে জ্বলছে রাজ্য। দেশ এই ডাবল ইঞ্জিন সিস্টেমে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে – এই দুটি ইঞ্জিন কেবল লুটপাট এবং দুর্নীতির দিকে দেশকে পরিচালিত করে।

দিল্লির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কথা তুলে ধরে কেজরিওয়াল এই ঘটনাকে ১৯৯০-এর দশকের মুম্বইয়ের অরাজকতার সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি বলেন, দিল্লিতে অপরাধ আকাশচুম্বী। মানুষ ঘরের বাইরে বেরোতে ভয় পাচ্ছেন। এই শহরে সাধারণ মানুষের নিরাপদে বসবাস করা ক্রমশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নারী সুরক্ষা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কেজরিওয়াল আপ সরকারের অধীনে বাস মার্শালদের পুনর্নিয়োগের কথা মনে করান। তিনি বলেন, ‘বাস মার্শাল নিয়োগের পর থেকে অনেক মহিলারা গণপরিবহনে অনেক বেশি নিরাপদ বোধ করেন। যদি কেউ খারাপ আচরণ করে তবে মহিলারা এখন তাদের আওয়াজ তুলতে পারেন। মার্শালরা ততক্ষণাৎ হস্তক্ষেপ করে, অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে এবং তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়।