বিজেপির ডাকা বাংলা বন্ধ পালন করতে নিষেধ করল নবান্ন। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারের তরফে স্পষ্ট বার্তায় বাংলার জনগণকে বলা হয়েছে, তাঁরা যেন বন্ধ পালন না করেন। তাঁরা যেন জনজীবন স্বাভাবিক রাখেন। পুজোর বিকিকিনি চলছে যে সমস্ত দোকান-বাজারে, তা যেন খোলা রাখা হয়। রাজ্য জানিয়েছে, তার জন্য কোনওরকম ক্ষতি যদি তাঁদের হয়, সেই ক্ষতিপূরণের দায়িত্ব নেবে রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে নবান্ন জানিয়েছে, তারা সমস্ত পরিববহণের স্বাভাবিক চলাচল বজায় রাখার জন্য সমস্ত আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।
মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের পরেই বিজেপির তরফে বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্ধ পালনের ডাক দেওয়া হয়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানে পুলিশের অত্যাচারের প্রতিবাদেই ওই বন্ধ পালন করা হবে। সেই ঘোষণার আধ ঘণ্টার মধ্যেই নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে সরকারি ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরজি করের ঘটনা এবং তদপরবর্তী আন্দোলনের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘তদন্ত চাওয়ার এবং সুবিচার চাওয়ার দায়িত্ব ও অধিকার আমাদের সকলেরই আছে। কিন্তু আজ (মঙ্গলবার) মহানগরকে এবং তার পর কাল (বুধবার ) বাংলাকে স্তব্ধ করার যে প্রয়াস হল এবং হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ অসমর্থনীয়। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা, পরীক্ষা আছে এবং চলছে। শারোদৎসবের বেচাকেনা শুরু হয়ে গিয়েছে। ব্যবসায়ী , কর্মজীবী, পেশাজীবী, বৃত্তিজীবী বৃহৎ সংখ্যক মানুষের ভবিষ্যৎ এতে বিপন্ন হচ্ছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য-সহ সমস্ত আপৎকালীন পরিষেবা বিপন্ন। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার জানাচ্ছে আগামী কালের প্রস্তাবিত বন্ধকে মেনে নেওয়া হবে না।’’