• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

কলকাতা দক্ষিণ ও বসিরহাটের তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল চাইল বিজেপি

নিজস্ব প্রতিনিধি— কলকাতা দক্ষিণ লোকসভা আসনের ঘাসফুল প্রার্থী মালা রায়েরও মনোনয়ন বাতিলের দাবি তুলল বিজেপি৷ তাদের অভিযোগ, মালা রায় কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন থাকা সত্ত্বেও লোকসভা ভোটে প্রার্থী হয়েছেন৷ যা ‘অফিস অফ প্রফিট’-এর আওতাধীন৷ লোকসভার সপ্তম দফার নির্বাচন রয়েছে আগামী ১ জুন৷ তার আগে দুই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন নিয়ে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি৷ ১ তারিখ কলকাতা

নিজস্ব প্রতিনিধি— কলকাতা দক্ষিণ লোকসভা আসনের ঘাসফুল প্রার্থী মালা রায়েরও মনোনয়ন বাতিলের দাবি তুলল বিজেপি৷ তাদের অভিযোগ, মালা রায় কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন থাকা সত্ত্বেও লোকসভা ভোটে প্রার্থী হয়েছেন৷ যা ‘অফিস অফ প্রফিট’-এর আওতাধীন৷ লোকসভার সপ্তম দফার নির্বাচন রয়েছে আগামী ১ জুন৷ তার আগে দুই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন নিয়ে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি৷ ১ তারিখ কলকাতা দক্ষিণ এবং বসিরহাট কেন্দ্রে ভোট রয়েছে৷ বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, ওই দুই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়নে গলদ রয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘‘মালা রায় কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন৷ যা ‘অফিস অফ প্রফিট’-এর আওতাধীন৷ ফলে ওই পদে ইস্তফা না দিয়ে লোকসভা ভোটের প্রার্থিপদের জন্য মনোনয়ন দেওয়া যায় না৷ উনি ওই পদে থাকাকালীন কোনও বেতন না নিলেও তিনি লাভজনক পদে রয়েছেন বলেই বিবেচ্য হবেন৷’’ বিজেপির অভিযোগ প্রসঙ্গে মালা রায় বলেন, ‘‘ওরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে৷ কমিশনে আমার সব কাগজপত্র দেওয়া আছে৷’’ তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘২০১৯ সালে যখন থেকে আমি লোকসভা ভোটে জিতেছি, তখন থেকে কলকাতা পুরসভা আর কোনও সাম্মানিক নিই না৷ এখন ওরা কিছু না পেয়ে এবং হারবে জেনে এ সব কাজ শুরু করেছে৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কলকাতা পুরসভা কোনও আইনসভা নয়৷ আমি বিধায়ক হলে লোকসভার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হতে পারত৷ কিন্ত্ত কলকাতা পুরসভা স্বশাসিত সংস্থা৷ আর আমি তো অনেক আগে থেকে পুরসভার চেয়ারপার্সন ছিলাম৷ তত দিন কি বিজেপি ঘুমোচ্ছিল?’’

বসিরহাটের তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনকে সেই মর্মে চিঠি দিয়েছেন ওই আসনের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র৷ রাজ্য বিজেপির তরফেও একই দাবি জানানো হয়েছে কমিশনকে৷ বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল প্রার্থী তাঁর মনোনয়নের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নো ডিউজ় সার্টিফিকেট জমা দেননি, মঙ্গলবার বেলা ৩টে অবধি তা দেওয়ার সময় ছিল৷ সেই সময় পার হওয়ার পরেই কমিশনে গেল বিজেপি৷ প্রসঙ্গত, বীরভূম আসনে বিজেপি প্রথমে প্রার্থী করে প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধরকে৷ কিন্ত্ত রাজ্য সরকারের থেকে নো ডিউজ় সার্টিফিকেট না-ও মিলতে পারে আশঙ্কা করে ওই আসনে দেবতনু ভট্টাচার্যকে প্রার্থী করে রেখেছিল পদ্মশিবির৷ সেই আশঙ্কা মেলে৷ মনোনয়ন বাতিল হয় দেবাশিসের৷ এর পর দেবাশিস এবং রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব প্রথমে কলকাতা হাই কোর্ট এবং পরে সুপ্রিম কোর্টে যান৷ কিন্ত্ত তাতে কোনও সুরাহা হয়নি৷ শেষ পর্যন্ত দেবতনুই বিজেপি প্রার্থী হিসাবে বীরভূমে লড়ছেন৷ সেই উদাহরণ টেনে হাজি নুরুলেরও মনোনয়ন বাতিল করা হোক, দাবি তুলেছে বিজেপি৷ দলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘‘হাজি নুরুলের মনোনয়ন যাতে বাতিল হয়, তার জন্য কমিশনকে জানানো হয়েছে৷ আমরা শেষ পর্যন্ত লড়ব৷ প্রয়োজনে হাই কোর্ট, সুপ্রিম কোর্টে যাব৷’’ তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘স্ক্রুটিনির শেষ পর্যন্ত বিবিধ তথ্য জমা দেওয়া যায়৷ বুধবার স্ক্রুটিনির শেষ দিন৷ তার মধ্যে যা জমা দেওয়ার, জমা পডে় যাবে৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘দু’হাজার টাকায় সন্দেশখালির মহিলাদের ইজ্জত বিক্রি করেছে বিজেপি৷ ওরা জানে, বসিরহাটে গণভোটে প্রত্যাখ্যাত হবে৷ যে কায়দায় সুরাত, ইন্দোরে বিরোধী প্রার্থীদের সরিয়ে দিয়েছে বিজেপি, বাংলাতেও সেই কৌশল নিতে চাইছে৷ কিন্ত্ত সফল হবে না৷’’