• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

মধ্যপ্রদেশের উপনির্বাচনেও বড় জয়ের পথে বিজেপি

মধ্যপ্রদেশের নির্বাচনেও শেষপর্যন্ত বড়সড় জয় পেল বিজেপি। বিজেপিতে যােগ দেওয়া জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া নিজের শক্তি প্রদর্শন করলেন।

মধ্যপ্রদেশের নির্বাচনেও শেষপর্যন্ত বড়সড় জয় পেল বিজেপি। বিজেপিতে যােগ দেওয়া জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া নিজের শক্তি প্রদর্শন করলেন। পাশাপাশি বিজেপি সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে যে সামান্যতম সংশয় ছিল সেটাও কেটে গেল। 

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিজেপি ২৮ টি আসনের মধ্যে ২০ টিতে এগিয়ে গিয়েছে। মাত্র ৭ টি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস। মায়াবতীর বিএসপি এগিয়ে ১ আসনে। 

কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া সদলবলে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখান। তাঁর সঙ্গে বিজেপিতে যােগ দেন কংগ্রেসের জন বিধায়ক। পরে একে একে আরও জন বিধায়ক গিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। আরও বিধায়কের মৃত্যুর ফলে মােট আসনের এই উপনির্বাচন হয়েছে। টির মধ্যে আসনেই কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যাওয়া বিধায়কদের প্রার্থী করেছে গেরুয়া শিবির। এদের মধ্যে জন আবার রাজ্যের মন্ত্রী। এই নির্বাচনকে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার জন্য বড় পরীক্ষা বলে মনে করা হচ্ছিল। এই জয়ের ফলে ২৩০ আসনের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যাচ্ছে বিজেপি। তাঁদের আসনসংখ্যা হতে চলেছে ১২৭। 

অন্যদিকে কংগ্রেস যারা কিনা ২০১৮ ভােটের পর ১১৪ টি আসন পেয়েছিল। তারা নেমে এল মাত্র ৯৪ আসনে। অন্যান্যদের মধ্যে ১ আসন বাড়ল বিএসপির। তাদের আসন বেড়ে হল ৪। সেই সঙ্গে একজন সমাজবাদী পার্টি এবং চারজন নির্দল বিধায়কও আছেন। 

জয় কার্যত নিশ্চিত হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলছেন, কংগ্রেসের অপপ্রচারে কান না দিয়ে উন্নয়নের পক্ষে ভােট দিয়েছেন মানুষ। আর কমলনাথ বলছেন, মানুষের রায় আমাদের মেনে নিতেই হবে। যদিও হার মানতে নারাজ আরেক কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং। তাঁর দাবি, বেছে বেছে ইভিএমে কারচুপি করা হয়েছে। এমন কিছু আসন আছে, যেগুলি আমরা কোনও ভাবেই হারতাম না। কিন্তু সেখানেও আমাদের হাজার হাজার ভােটে হারানাে হচ্ছে।